Advertisement

উত্তরবঙ্গ

পরিবারের সঙ্গতি নেই, মেলেনি সাহায্য, মৃতদেহ পুঁতে ফেললেন রেড ভলান্টিয়াররা

অসীম দত্ত
  • আলিপুরদুয়ার,
  • 27 May 2021,
  • Updated 8:18 PM IST
  • 1/11

অর্থের অভাবে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যাক্তির দেহ সৎকার করতে পারলো না তার পরিবার। মৃত্যুর ২৪ ঘন্টা পরেও বাড়িতেই মৃতদেহ আগলে রাখলো মৃত ব্যাক্তির স্ত্রী, ও দুই কন্যা।করোনা সন্দেহে মৃত ব্যাক্তির দেহ সৎকারে এগিয়ে এলো না প্রতিবেশীরাও।
 

  • 2/11

বুধবার বিকেলে মাদারিহাট ব্লকের জাহাজীপাড়ার এই ঘটনায় স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে তৃনমুল নেতৃত্ব। অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারিহাটের রেড ভলেন্টিয়ারের সদস্যরা স্থানীয়  যুবকদের সাহায্য নিয়ে বাড়ির পাশে ওই  মৃত ব্যক্তির দেহ সৎকার করে।

  • 3/11

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হতদরিদ্র ওই পরিবারটির কাছে মৃতদেহ সৎকার করার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই। ফলে বাড়িতেই রাতভর মৃতদেহ আগলে রাখে মৃত ব্যাক্তির দুই কন্যা এবং স্ত্রী। ওই ব্যাক্তির মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়িতে একটি বারের জন্য খোঁজ নিতে আসেনি ব্লক প্রশাসন।

  • 4/11

আসেনি কোনও পাড়াপড়শিও। বুধবার বিকেল থেকে মৃতদেহ ঘরের মধ্যে রেখেই রাত কাটিয়েছে অসহায় তিন মহিলা। তবে, মাদারিহাটের বিডিও শরণ তামাং ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকেই ওই ব্যাক্তির মৃত দেহ সৎকার করার সমস্ত সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। 

  • 5/11

স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তৃণমূলের সাজিদ আলম অভিযোগ করেন, বুধবার রাতেই করোনা সন্দেহে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়। কিন্তু প্রশাসন থেকে দেহ সৎকারের কোন উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাবার জন্য কোনও ব্যবস্থাই করেনি প্রশাসন।

  • 6/11

পেশায় দিন মজুর হতদরিদ্র ওই ব্যক্তি গত কয়েক দিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন। কিন্তু স্বাস্থ্য দপ্তরের আশা কর্মীরা ওই ব্যাক্তির বাড়িতে গিয়ে অনুরোধ করা সত্বেও ওই ব্যক্তি লালারস পরীক্ষা করতে রাজি হননি। 

 

 

  • 7/11

রেড ভলেন্টিয়ারের পক্ষ থেকে ডিওয়াইএফআইএর মাদারিহাট ব্লক সম্পাদক বিশ্বরূপ সাহা বলেন, আমরা খবর পাওয়ার পর মৃত ব্যক্তির দেহ সৎকারে উদ্যোগী হই।

  • 8/11

কিন্তু দেহ সৎকারের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানী কাঠ কেনার মতো টাকা পয়সাই ছিল না মৃতের পরিবারের হাতে। আমাদের রেড ভলেন্টিয়ার ফান্ডেও টাকা পয়সা নেই।

  • 9/11

তাই শুনতে খারাপ লাগলেও এক প্রকার বাধ্য হয়েই বাড়ির পাশে মুজনাই নদীর ধারে নিয়ে গিয়ে মাটি খুঁড়ে মৃত ব্যক্তির দেহ সমাহিত করতে বাধ্য হই আমরা।

  • 10/11

রাঙালিবাজনার জাহাজিপাড়ার ওই ব্যক্তির নাম প্রভাসু রায়(৪৫)। তিনি বেশ কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। বাড়িতে চিকিৎসার জন্য ওই ব্যক্তি কবিরাজি চিকিৎসার উপরই নির্ভরশীল ছিলেন।

  • 11/11

স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা বাড়িতে চিকিৎসার জন্য এলেও তাদের থেকে ওই ব্যাক্তি চিকিৎসা করাননি বলে অভিযোগ। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, আশা কর্মীরা করোনা পরীক্ষার জন্য একাধিকবার ওই ব্যক্তির বাড়িতে গিয়েছিল।  কিন্তু ওই ব্যক্তি করোনা পরীক্ষা করতে রাজি ছিলেন না। দুর্ভাগ্যজনক বিষয়, জ্বরের জন্য ওই ব্যক্তি কবিরাজি চিকিৎসার উপর নির্ভর করছিল। আমরা বার বার প্রচার চালাচ্ছি জ্বর হলে সোজা হাসপাতালে আসুন। করোনার পরীক্ষা করুন। কিন্তু তারপরেও এই ঘটনা ঘটায় আমরা হতাশ। 

Advertisement
Advertisement