রাখিবন্ধনের দিনেও তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব চাঁচলে। তীব্র কটাক্ষ বিজেপির। রাখি বন্ধন উৎসবে মোদী- মমতার প্রতীকের রমরমা বিক্রি হচ্ছে রাখি।
কিন্তু ঠিক উল্টো চিত্র ধরা পড়ল মালদহের চাঁচলে। রাখি বন্ধনের দিনই প্রকাশ্যে আসল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। চাঁচল-১ নং ব্লক ও টাউন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আলদা ভাবে রাখি বন্ধন উৎসবে সামিল হলেন।
এদিন দুই সংগঠনের পক্ষ থেকেই ভিন্ন ভাবে চাঁচল শহরের পথ চলতি সাধারণ মানুষের হাতে রাখি ও করোনা প্রতিরোধকারী মাস্ক পড়িয়ে দেন।
টিএমসিপির দুই ছাত্র সংগঠনের এই কর্মসূচিতে গোষ্ঠী দ্বন্দের রূপ দিল বিজেপি। প্রতি বছর রাখি বন্ধনের দিনটিতে চাঁচল ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা সাড়ম্বরে দিনটিকে পালন করে। কিন্তু এবার তার উল্টো চিত্র চাঁচলে।
টিএমসিপির এক সংগঠনের দুটি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আলাদা করে রাখি বন্ধনের আয়োজন করা হয়। একটি হয় চাঁচল স্ট্যান্ডে।
সেখানে চাঁচল-১ নং ব্লক টিএমসিপির সভাপতি রকি খানের নেতৃত্বে রাখি বন্ধন উৎসব পালন করা হয়। সেখানে তাঁদের গোষ্ঠীর লোকজন ছিল।
পাশাপাশি অন্যদিকে শহরের অন্য প্রান্তে চাঁচল টাউন টিএমসিপির পক্ষ থেকে রাখি বন্ধন উৎসবের আয়োজন করা হয়। যা নিয়েই বিতর্ক।
পূর্বে একত্রিত হয়েই এই উৎসব পালন করা হতো বলে জানা গিয়েছে। তবে এবার তাঁরা আলাদা। আর যাঁকে গোষ্ঠী দ্বন্দ বলে অভিহিত করছে বিজেপি।
চাঁচল-১ নং ব্লক তৃণমূল টিএমসিপির সভাপতি রকি খান জানান,আমরা ব্লক টিএমসিপি সংগঠনের উদ্যোগে রাখি বন্ধনের আয়োজন করেছি। কিন্তু চাঁচল অঞ্চল টিএমসিপির সভাপতি আলাদাভাবে আয়োজন করেছেন। কিন্তু বিষয়টি আমাদের জানায়নি।
চাঁচল অঞ্চল টিএমসিপির সভাপতি সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্যের দাবি, আমাদের আয়োজন আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। এ বিষয়ে আমি ব্লক সংগঠনকে জানিয়েছি। তারপরেও তারা আলাদাভাবে আয়োজন করেছেন। চাঁচলের বিজেপি নেতা প্রসেনজিৎ শর্মা দাবি করেন, উৎসবের দিনেও ভেদাভেদ। এটা তৃণমূলই পারে।