ঝুলন যাত্রা বাংলার ঐতিহ্যবাহী এক আচার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঝুলন যাত্রা উৎসব হারিয়ে যাচ্ছে। তাই এই ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে কলকাতাবাসীকে বর্ণিল ঝুলন সাজের আয়োজন করল দক্ষিণ দমদম পৌরসভা।
ঝুলন সাজানোর মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রকল্পগুলিকে এখানে তুলে ধরা হয়েছে। গ্রামীণ জীবন এবং নগর জীবন দুটোই এখানে প্রাধান্য পেয়েছে।
দক্ষিণ দমদম পৌরসভার তৃণমূলের ওয়ার্ড সমন্বয়কারীর তরফে ঝুলনে এই রঙিন সাজসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রচুর মানুষ তা দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন।
শ্রীকৃষ্ণের অনুগামীদের জন্য ঝুলন যাত্রা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনীর সঙ্গে রাধা এবং কৃষ্ণের লীলার ওপর ভিত্তি করে এই দিনটি পালিত হয়।
ভক্তরা প্রধানত রাধা এবং কৃষ্ণের লীলাকে তুলে ধরার জন্য এই অনুষ্ঠানটি উদযাপন করে। কিন্তু বর্তমান যুগে অধিকাংশ মানুষ এই আচার -অনুষ্ঠান ভুলতে বসেছে।
দক্ষিণ দমদম পৌরসভার তৃণমূলের ওয়ার্ড সমন্বয়কারী সঞ্জয় দাস ঝুলনযাত্রা সম্পর্কে জানিয়েছেন, বাস্তবকে ভারতীয় পুরাণের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছেন তিনি।
গ্রামের উন্নয়ন থেকে শুরু করে শিক্ষা কেন্দ্র, কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, সুন্দরবন, জঙ্গলমহল, পরিবেশ বাঁচান, দেশ প্রেম, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উন্নয়ন, বাঙালির আচার -অনুষ্ঠান সবকিছু এখানে সাজানো হয়েছে। থার্মোকল এবং বিভিন্ন রং ব্যবহার করে সাজানো হয়েছে। নানারকম আলো এবং শব্দের ব্যবহারও হয়েছে।
স্থানীয় একজন মহিলা ঝুলন সজ্জা দেখতে এসে জানান, "আমি এই ধরনের ঝুলন সাজানো কোথাও দেখিনি। বাইরে থেকে অনেক মানুষ দেখতে আসছে। রাধা কৃষ্ণের দোলনা দেখেছি। সরকার কর্তৃক উন্নয়নমূলক কাজগুলো করা হয়েছে, সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে। সব দেখে ভালো লাগছে।"
(ঝুলনযাত্রা)