Advertisement

শিলিগুড়ি থেকে কেনা ২০০ বছর প্রাচীন 'হাতির কড়াই; হইচই বাংলাদেশে

শিলিগুড়ি থেকে কেনা ২০০ বছর পুরনো 'হাতির কড়াই; ঘিরে উন্মাদনা বাংলাদেশের নীলফামারিতে। উন্মাদনে দেখে সেদেশের প্রশাসন সেটিকে যাদুঘরে রাখতে চায়, কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পত্তি হাতছাড়া করতে রাজি নন কড়াইয়ের মালিকের বংশধররা।

সেই আলোচিত হাতির কড়াই
সংগ্রাম সিংহরায়
  • শিলিগুড়ি,
  • 19 May 2022,
  • अपडेटेड 5:09 PM IST
  • ২০০ বছর পুরনো কড়াইকে ঘিরে উন্মাদনা বাংলাদেশে
  • শিলিগুড়ি থেকে কেনা হয়েছিল কড়াই
  • নীলফামারিতে পাড়ার নামই বদলে গিয়েছে

হাতি নেই বহুকাল। তবে হাতি পোষার ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে রয়ে গিয়েছে হাতিকে জল খাওয়ানোর কড়াই। আকার দেখলে মালুম হবে, কড়াইটি হাতির যোগ্যই বটে। এত বড় লোহার কড়াই, চুরি করে বিক্রি করে দিলেও মোটা টাকা লাভ হবে সেটা জানেন কড়াইয়ের মালিকও। তাই শিকলে বেঁধে তালা মেরে রাখা হয়েছে কড়াইটি। কড়াইয়ের মালিকপক্ষের দাবি, কড়াইটি তাঁদের পূর্বপুরুষদের ২০০ বছরের ঐতিহ্য। বাড়িতে পোষা জোড়া হাতিকে জল খাওয়ানোর জন্য এটি অবিভক্ত ভারতের শিলিগুড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি কড়াইটি প্রত্নতত্ত্ব দপ্তরের নিদর্শনের স্বীকৃতিও পেয়েছে। এই কড়াই নিয়েই এখন হইচই দেশজুড়ে।

দুশো বছরের পুরনো কড়াই ঘিরে উন্মাদনা বাংলাদেশে

দেড়’শ-থেকে দুশো বছরের পুরোনো লোহার ওই ‘কড়াই’টি রয়েছে বাংলাদেশের নীলফামারি জেলার জলঢাকায়। সে সময়ে হাতিকে জল খাওয়ানোর জন্য কেনা এই কড়াই এখন দর্শনীয় বস্তুতে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই ভিড় করছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের তহশিলদারপাড়া এলাকার এমদাদুল হকের বাড়িতে শেকলে বেঁধে রাখা হয়েছে এই কড়ইটিকে।

কড়াইয়ের ওজন, ব্যাস, পরিধি

লোহার এই কড়াইটির চওড়ায় ২০ ফিট, ব্যাসে ৭ ফিট। ওজন প্রায় ১ টন। এত পুরোনো হওয়ায় অনেকটা ক্ষয় হয়ে গিয়েছে।এরশাদ বিন এমদাদ বলেন, এটি কড়াইটি ব্যক্তিগত। আমরা এটি সংরক্ষণ করতে চাই। প্রত্মতত্ত্ব অধিদপ্তর আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। তাঁরা বাড়ির সামনে বাগান করে কড়াইটিকে আরও সুন্দর করে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে রাখা হবে।

প্রশাসন সংরক্ষণ করতে চায়

দুশো বছরের ইতিহাস বিজড়িত ওই লোহার কড়াইটি সংরক্ষণ করতে চায় সেদেশের প্রশাসন। কিন্তু এতে আপত্তি তুলেছেন কড়াইটির দাবিদাররা। বরং নিজেদের কাছে রেখে এটিকে উন্মুক্ত করে দিতে চান। স্থানীয়রাও কড়াইটি হাতছাড়া করতে চাইছেন না। কড়াই রক্ষার দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধনও করেছেন।

Advertisement

দেশভাগের আগে শিলিগুড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কড়াইটি

এমদাদুল হক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রায় ১৭৫ বছর আগে তার বাবার বড় ভাই ভুল্ল্যা মামুদ সরকার এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন। তখন দেশ ভাগ হয়নি। ফলে জিনিস নিয়ে যেতে বেগ পেতে হয়নি। সময়ের সঙ্গে হাতি না থাকলেও এখনও সেই কড়াইটি ঐতিহ্য বহন করে আসছে।

কড়াইয়ের নামেই পরিচিতি গ্রামটির

একটা সাধারণ কড়াই নিয়ে এলাকাবাসীর উন্মাদনা কোন পর্যায়ে গিয়েছে তা বোঝা যায়, এই কড়াইটির নামে এখানে মসজিদ ও মাদ্রাসা রয়েছে। গ্রামটির নামকরণও হয়েছে। হাতির কড়াই পাড়া নামে।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement