Advertisement

উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে আগুনে পুড়ে মৃত শিশু সহ পাঁচ

অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুই শিশু সহ নিহত একই পরিবারের ৫জন। শনিবার উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের মালডুমা গ্রামের ঘটনা। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • হেমতাবাদ,
  • 15 May 2021,
  • अपडेटेड 12:31 PM IST
  • আগুনে পুড়ে মৃত তিন শিশু সহ ৫
  • খুন করে আত্মঘাতী?উঠছে প্রশ্ন
  • ঘটনার নেপথ্যে কি, দন্তে পুলিশ

অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুটি শিশু সহ নিহত একই পরিবারের ৫ জন। শনিবার উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের মালডুমা গ্রামের ঘটনা। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অভিযোগ গৃহকর্তা নিজের, স্ত্রী ও বাচ্চাদের গায়ে কেরোসিন জাতীয় কিছু ছিটিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। 

মালডুমা গ্রামে আচমকা শোক

উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ ব্লকের ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের চৈনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কিসমত মালডুমা গ্রামের ঘটনা। মৃতদের মধ্যে একজন ৪ বছরের ও একজন ৭ বছরের শিশু কন্যা রয়েছে। 

মৃতদের পরিচয়

পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম রামচন্দ্র ভৌমিক(৪০), শঙ্করী ভৌমিক(৩২), রাণী ভৌমিক(১২), করুনা ভৌমিক(৭), সরস্বতী ভৌমিক(৪)।

ঘটনার বিবরণ

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ওই পরিবার। সেখান থেকে ফিরে এসে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়লে নিজের শরীরে এবং স্ত্রী ও মেয়েদের শরীরে কিছু একটা ছিটিয়ে তারপর আগুন ধরিয়ে দেয় পরিবারের কর্তা রামচন্দ্র ভৌমিক।  

কেন এমন অভিযোগ

এক সময় ভ্যান চালক রামচন্দ্র ভৌমিক কর্মহীন হয়ে আর্থিক অনটনের মধ্যে ছিলেন। তার পাশাপাশি একটি বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থা থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন কেউ কেউ। হয়ত এই আর্থিক টানাপোড়েনের কারনেই সে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারে এমনটা অনুমান করছেন অনেকে। শনিবার সকালে রামচন্দ্র ভৌমিক সহ তার স্ত্রী ও দুই মেয়েদের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তবে ভোররাতে ঘটনার পরেই ১২ বছরের মেয়েকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন হেমতাবাদের বিডিও লক্ষীকান্ত রায়। 

অশান্তি ছিল না পরিবারে

এদিকে রামচন্দ্র ও তার স্ত্রীয়ের কোনো দাম্পত্য কলহ বা কন্যাদের সঙ্গেও সংসারে কোনও অশান্তি ছিল না বলেই প্রতিবেশীদের দাবি। আর তাতে কেন এই ঘটনা তা নিয়ে কৌতুহল ও রহস্য রয়েছে। এদিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে আসেন হেমতাবাদের বিডিও লক্ষ্মীকান্ত রায় সহ থানার পুলিশ এবং বিএসএফও। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement