করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ, আতঙ্কে আত্মহত্যা করল অ্যাম্বুলেন্স চালক
করোনার রিপোর্ট পজিটিভ। তাতেই মুষড়ে পড়ে শিলিগুড়ির এক অ্যাম্বুল্যান্স চালক। একবার তাঁকে তাঁর বাবা নিরস্ত করলেও দ্বিতীয়বার আর সে সুযোগ আসেনি। শেষমেষ মৃত্যুকেই বেছে নেয় ওই ব্যক্তি। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়।
মৃত ব্যক্তির নাম রিন্টু পাল (৪১)। পেশায় তিনি অ্যাম্বুলেন্স চালক। ঘটনায় বাগডোগরা থানার পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেডিক্যালে পাঠায়।
বহুদিন ধরেই কাশির সমস্যায় ভুগছিলেন শিলিগুড়ির নকশালবাড়ি ব্লকের রাঙাপানির এলাকার বাসিন্দা রিন্টু পাল(৪১)। চিকিৎসার জন্য বাইরেও গিয়েছিলেন। কিন্তু ফিরে আসার পর কাশির সমস্যা কমেনি। কয়েকদিন আগে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গেলে সেখানে কোভিড টেস্ট করতে বলা হয়। এছাড়াও আরও কিছু টেস্ট দেওয়া হয়। সেই মতো বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিআরডিএল ল্যাবে করোনার পরীক্ষা করেন। এরপর গতকাল সন্ধ্যায় কোভিড টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন রিন্টু ।
জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে টোটো ধরে ফুলবাড়ি ব্যারেজে গিয়ে প্রথমে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। সেখান থেকে কোনও মতে তাঁর বাবা বুঝিয়ে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। এরপর ভোরে তাঁর ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
মৃতের পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, রিপোর্ট আসার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন রিন্টু। মৃতের বাবা রতন পাল বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছেলের মোবাইলে মেসেজ আসে। রিপোর্ট পজিটিভ দেখায়। এরপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে টোটো নিয়ে ফুলবাড়ি ব্যারেজে যায়। সেখান থেকে আমাকে মোবাইলে ফোন করে বলে আমি বাঁচবো না। ঝাঁপ দিচ্ছি। তড়িঘড়ি সেখান থেকে বুঝিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসি ছেলেকে। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদও কথা হয়। সকালে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এরপর ভোরে একটি ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
ঘটনার পর বিষয়টি জানানো হয় বাগডোগরা থানার পুলিশকে। পুলিশ কর্মীদের উপস্থিতিতে দেহটি উদ্ধার হয়। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, করোনার পজিটিভ রিপোর্ট আসাতেই আত্মহত্যা করেছে রিন্টু পাল। ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।