নদীমাতৃক বাংলা থেকে মেঘের রাজ্য মেঘালয়। মাঝে আরেক বাংলা। তবে তা বিদেশ। ট্রেনে করে বাংলা থেকে বাংলা হয়ে মেঘালয় পাড়ি দেওয়ার বন্দোবস্ত চাইছে রেল। আর শুধু চাওয়াই নয়, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রস্তাবও পাঠানো হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রকের কাছে। সব ঠিকঠাক চললে অনুমোদনও চলে আসবে। তারপর ৬০০ কিলোমিটার দূরত্ব নেমে আসবে মাত্র ১২০ কিলোমিটারে। সবটাই কেমন স্বপ্ন আর ধোঁয়াশার মতো শোনাচ্ছে না? না সবটাই সত্যি এবং ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের হিলি থেকে মেঘালয়ের তুরা পর্যন্ত সরাসরি যাবে ট্রেন
পশ্চিমবঙ্গের হিলি থেকে মেঘালয়ের তুরা পর্যন্ত সরাসরি যাবে ট্রেন। আর গোটা পথের বেশিরভাগটাই যাবে বাংলাদেশের উপর দিয়ে। তাতেই যাত্রাপথ ৫ গুণ কমে যাবে। মেঘালয়ের সঙ্গে দেশের অন্য এলাকাকে যুক্ত করতে দ্বিতীয় একটি রেলপথের চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র। এই রেলপথ (Rail-Route) বাংলাদেশের (Bangladesh)-এর মধ্য দিয়ে করা হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রস্তাব ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। আপাতত অপেক্ষা চূড়ান্ত অনুমোদনের। ইতিমধ্যেই ১ জুূন থেকে শিলিগুড়ি-ঢাকা ট্রেন চলাচল চালু হবে বলে জানা গিয়েছে। তারই মধ্যে এই খবর বাড়তি খুশি এনে দিয়েছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (Northeast Frontier Railway)-এর কাটিহার (Katihar) ডিভিশন ওই রুট করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে।
অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে
এই রেলপথের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিল Joint Movement Committee for Corridor (JMCC) না্মে মেঘালয়ের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। ওই সংগঠনের নেতা জানান, তিনি এই প্রস্তাব পাঠানোর কথা জানেন। তাঁর মতে, এই রেলরুট strategic ও অর্থনৈতিক দুই কারণেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন রেলমন্ত্রকের অনুমোদন ও নির্দেশ পেলেই এই কাজ শুরু হবে।
গারো পাহাড়ে চলবে ট্রেন
উল্লেখ্য এই রুট চালু হলেই পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হবে গারো পাহাড় (Garo Hills)। যদিও মেঘালয় রাজ্যের ওই এলাকার লোকজনের একাংশ এর বিরোধিতায় নেমেছে। তবে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রকের অনুমোদন পেলে তা ধোঁপে টিকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। করেছে। এই রেলপথ স্থাপন করতে হলে, বাংলাদেশের অনুমতি নিতে হবে। তাই প্রস্তাব পাঠানো হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও।
৬০০ কিলোমটার রাস্তা হবে ১২০ কিলোমিটার
এখন তুরা থেকে শিলিগুড়ি হয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর আসতে ঘুরতে হয় প্রায় ৬০০ কিলোমিটার। এই রেললাইন চালু হলে এই দূরত্ব কমে হবে মাত্র ১২০ কিলোমিটার। এই লাইন করতে গেলে যমুনা নদীর ওপর সেতুও করতে হবে।