নির্বাচনে নির্ঘন্টর অবসরে ছুটির মেজাজে যাঁরা এদিক-ওদিক ঘুরতে ভালোবাসেন, বিশেষ করে উত্তরের অরণ্য যাঁদের টানে তাদের কাছে জোর ধাক্কা বনদপ্তরের সিদ্ধান্তে। চলতি সপ্তাহ থেকেই পর্যটকদের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হল কোচবিহারের পাতলাখাওয়া বনাঞ্চল।
আসলে পাতলাখাওয়া এলাকায় বাইসনের উপদ্রব অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। যা পর্যটক তো বটেই বনকর্মী এবং আধিকারিকদের কাছেও আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। প্রত্যেককে ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে এই সিদ্ধান্ত বনদপ্তরের। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সবার আগে সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই পাতলাখাওয়া বনাঞ্চল আপাতত বন্ধ রাখা হল।
এই বনাঞ্চলের রসমতী পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণের কারণ। ফলে ছুটির আবহে পাতলাখাওয়া বাদ দিয়েই ঘোরাফেরার পরিকল্পনা করতে হবে। বনদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েক বছর ধরে পাতলাখাওয়া বনাঞ্চলে বাইসনের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে প্রচুর। মাঝেমধ্যেই লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। পাঁচ-ছয় বছর আগেও সেখানে সেভাবে বাইসনের দাপট ছিল না। কিন্তু এখন সেখানে বাইসনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় পঞ্চাশটি। বাইসনের খাবার জোগান দিতে ঘাস রোপন করা হয়েছে। বাইসনগুলি খাবারের লোভে পাতলাখাওয়ায় চলে আসছে।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই পাতলাখাওয়া বাদ দিয়েও লাগোয়া মরিচবাড়ি, মধুপুর, টাকাগাছ, বসিরহাট সহ বেশ কিছু এলাকায় বাইসনের তাণ্ডব দেখা গিয়েছে। ফলে পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দিলে যেকোন সময়ে আক্রমণের মুখে পড়তে হতে পারে। পরিবেশপ্রেমীদের দাবি, উত্তরবঙ্গের সব জঙ্গলেই বাইসনের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে। পাশাপাশি বাইসনকে খাওয়ার মত বাঘ জাতীয় প্রাণী তেমন বেশি না থাকায় ভারসাম্যের অভাব ঘটছে। ফলে খাদক এর অভাবে বাইসনের সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত বাড়ছে।