কয়েকশো কিলোমিটার পার হয়ে শিলিগুড়িতে থমকাল পাচারের গাড়ি
পাঞ্জাব থেকে দিল্লি হয়ে উত্তরপ্রদেশ। সেখান থেকে কলকাতা হয়ে শিলিগুড়ি পার হলেই বাংলাদেশ। কয়েকশো কিলোমিটার রাস্তা পার হয়ে এসে শেষ রক্ষা হলো না। মাত্র কয়েক কিলোমিটার এর জন্য এদেশেই থমকে গেল দীর্ঘ যাত্রা। সৌজন্যে দার্জিলিং পুলিশ।
পঞ্জাবের ট্রাক আটক
শুক্রবার রাতে একটি ট্রাকে ২৮ টি গরু পাচারের অভিযোগে দুজন গাড়ি চালককে গ্রেফতার করেছে শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়া থানার ঘোষপুকুর ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের নাম অচ্ছরপ্রীত সিং এবং জগপাল সিং। দুজনই পঞ্জাবের লুধিয়ানার বাসিন্দা। তারা পুলিশকে জানিয়েছে অসম যাচ্ছিল। তবে পুলিশের ধারণা বাংলাদেশে পাচার হচ্ছিল গরু।
পুলিশের গোপন অভিযানে আসে সাফল্য
পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, শুক্রবার রাতে ফাঁসিদেওয়া ঘোষপুকুর গান্ধিমোড় এলাকা দিয়ে গরু পাচারের ট্রাক যাবে। সেই মতো আগে থেকে ওত পেতে ছিল পুলিশ বাহিনী। খড়িবাড়ির দিক থেকে ফাঁসিদেওয়া হয়ে বাংলাদেশগামী একটি ছয় চাকার পণ্যবাহী ট্রাক নাকা চেকিং করতে গিয়ে আটক করা হয়। তল্লাশি চালাতে গাড়ি থেকে ২০ টি বড় গরু এবং ৮ টি বাছুর উদ্ধার হয়। গাড়ির চালকের কাছে গরু নিয়ে যাওয়ার নথি দেখতে চায়। তারা দেখাতে পারেনি। পুলিশ গাড়ির চালককে আটক করে।
আদালতে পেশ পাচারে অভিযুক্তদের
পরে থানায় নিয়ে গিয়ে মুহুর্মুহু জিজ্ঞাসাবাদে গরু পাচারের অভিযোগ স্বীকার করে নেয় ওই দু'জন বলে পুলিশের দাবি। তবে দুজন জানায় তারা অসমে গরু পাঠাচ্ছিল। পুলিশ তাদের দেওয়া ঠিকানা যাচাই করছে।পুলিশের অনুমান উদ্ধার হওয়া গরুর বাজার মূল্য ১০ লক্ষ টাকার বেশি। ধৃতদের মহকুমা আদালতে পাঠিয়ে গরুগুলিকে খোঁয়াড়ে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশে পাচার, সন্দেহ পুলিশের
এই গরু পাচার চক্রের সঙ্গে কারা জড়িত, তারা কোথা থেকে গরু নিয়ে কাকে, কার মাধ্যমে বিক্রি করতে যাচ্ছিল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে পুলিশের ধারণা ফাঁসিদেওয়া কিংবা বিধাননগর পার করেই উত্তর দিনাজপুরের হফতিয়াগছ, চোপড়ায় সীমান্ত রয়েছে। সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করে দিতে পারলেই আর ধরা যেত না। এর আগে এই এলাকায় ধরা পড়া সমস্ত গরুই বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছিল। তাই পুলিশ আরও যাচাই করছে।
গরু পাচার নিয়ে ঝুঁকি নেবে না পুলিশ
গরু পাচার নিয়ে দেশজুড়ে হইচই চলছে। জড়িয়ে গিয়েছে অনেক বড় বড় নাম। তার পর কিছুদিন চুপচাপ ছিল। তার মধ্যে লকডাউনে কড়াকড়ি থাকায় পাচারও স্তিমিত ছিল। বিধি নিষেধে শিথিলতা শুরু হতেই ফের মাথাচাড়া দিয়েছে পাচার চক্র। পুলিশ প্রতিটি সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে।