মহানন্দার ধার বারবর চলছে সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প। তাই দেওয়া হয়েছে রেলিং। এর জেরে ঘাটে নামার ক্ষেত্রে অসুবিধা। এবার তাই বিকল্প ব্যবস্থার দাবিতে 'মৌন জল সত্যাগ্রহ' করলেন ছট ব্রতীরা। বুধবার শিলিগুড়িতে (Siliguri) মহানন্দায় হাঁটু জলে নেমে হাতে পোস্টার নিয়ে নীরব প্রতিবাদ জানান তাঁরা। এবছর ইতিমধ্যেই ছটপুজোর (Chat Puja 2020) ক্ষেত্রে বেশকিছু বিধি নিষেধ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (High Court)। তার মধ্যে শিলিগুড়িতে আবার চলছে সৌন্দর্যায়নের কাজ। এই পরিস্থিতিতে এর আগে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে তাঁরা এই প্রতিবাদ আন্দোলনের পথে নেমেছেন বলে জানাচ্ছেন ছট ব্রতীরা।
বিহারের পাটনার পর শিলিগুড়ির মহানন্দা নদীতেই সবচেয়ে বড় আকারে ছট পুজো উদযাপন হয়। প্রতিবছরই শিলিগুড়ির মহানন্দা নদীতে কয়েক হাজার ঘাট তৈরি করে ছট পূজার আয়োজন করা হয়। কিন্তু মহানন্দার লালমোহন মৌলিক ঘাটে যেখানে ছট পূজা হয় সেই জায়গায় এবছর নদীর পাড় বরাবর চলছে রাজ্য সরকারের গ্রিন সিটি মিশন প্রকল্পের আওতাভুক্ত সৌন্দর্যায়নের কাজ। বসানো হয়েছে বেঞ্চ, লাগানো হয়েছে রেলিং। যার জেরে ঘাটে নামার ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে বলে মনে করছেন ছট ব্রতীরা। এই পরিস্থিতিতে গত ৩ তারিখ প্রশাসনের কাছে ডেপুটেশন দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাতে সুরাহা না হওয়ায় এদিন শিলিগুড়ি পুরনিগম ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে জলে নেমে মৌন প্রতিবাদে সামিল হয় বিহারী কল্যাণ মঞ্চ। নদীতে হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে হাতে কালো কাপড় বেঁধে মৌন প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজো, কালীপুজোর পর এই বছর ছটপুজোর ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট । আদালত জানিয়েছে, "এই বছর ছট পুজোয় করা যাবে না কোনও শোভা যাত্রা। পরিবারের ২ জনের বেশি নামতে পারবেন না জলে। ছটপুজোর জন্য যেতে হবে নিকটবর্তী জলাশয়ে। ছোট খোলা গাড়ি করে জলাশয়ে যাওয়া যেতে পারে, কিন্তু থাকবে না ডিজে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে ১৪৪ ধারা জারি করতে পারে রাজ্য। সামাজিক দূরত্ব বিধি মানা হচ্ছে কি না তা দেখার জন্য মাস্ক ও স্যানিটাইজার নিয়ে নির্দিষ্ট ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে।"