তোলাবাজির অভিযোগে শিলিগুড়িতে গ্রেপ্তার খোদ থানার কর্মী। শিলিগুড়ি প্রধাননগর থানা এবং আইসির নাম করে টাকা তুলছিল ওই কর্মী বলে অভিযোগ ওঠে। তড়িঘড়ি ওই অভিযুক্ত কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি প্রধাননগর থানার আইসিকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে গোটা শহরে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং দুষ্কৃতীদের তোলাবাজিদের এমনিতেই নাজেহাল বিভিন্ন এলাকার মানুষ। এবার তোলাবাজিতে খোদ থানার কর্মীর নাম সামনে আসায় অস্বস্তিতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন পুলিশকর্তারাও। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা সংবাদমাধ্যমকে শুধু জানিয়েছেন, বিভাগীয় কারণে আইসিকে ক্লোজ করা হয়েছে। তদন্ত করা হচ্ছে।"
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি শিলিগুড়ি পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এসওজি শিলিগুড়ি প্রধাননগর থানার শালবাড়ি এলাকায় একটি বেআইনি পানশালায় হানা দেয়। সেখান থেকে প্রচুর বেআইনি মদ সহ বিভিন্ন সামগ্রী আটক করা হয়। গ্রেপ্তার হয়েছে ১০ জন। কোনও লাইসেন্স ছাড়াই পানশালাটি দীর্ঘদিন ধরে কীভাবে চলছিল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু প্রধাননগর থানা থেকে কোনও রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পাশাপাশি আবগারি দপ্তরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, লাইসেন্স না থাকার কারণ দেখিয়ে ভয় দেখিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ ওঠে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে। বিশেষ করে থানার নামে ১০ হাজার টাকা এবং আইসি নাম করে ২৫ হাজার টাকা আলাদা করে চাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। পাশাপাশি নিজের নামে ৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয় অন্য একটি থানার ওসির নামেও একই ভাবে টাকা চাওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারের কাছে চলে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই তদন্ত শুরু হয়। প্রধাননগর থানার আইসি শুভাশিস চাকিকে ক্লোজ করে তার জায়গায় নির্মাল লেপচাকে প্রধাননগর থানার আইসি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তোলাবাজিতে অভিযুক্ত যুবকের নাম দীনেশ মোদক বলে জানা গিয়েছে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারের চুক্তিভিত্তিক অফিস বয় হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। তাকে প্রধাননগর থানায় অ্যাসোসিয়েট হিসেবে রাখা হয়েছিল। দীনেশ থানার বিভিন্ন ছোটখাটো কাজ করে দেওয়া ও খবরাখবর দেওয়ার কাজ করত। সেই প্রধাননগর থানার নামে শালবাড়ি থেকে ওই পানশালায় তোলাবাজি করছিল বলে কমিশনারের কাছে অভিযোগ যায়। ডিডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার। তদন্তে নেমে অভিযোগে জড়িত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ হাতে পেয়েই তারপর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।