Darjeeling Hill: পাহাড়ে ফের মেরুকরণের রাজনীতি। একদিকে অনীত থাপার দল বিজিপিএম। অন্যদিকে, অজয় এডওয়ার্ড, বিমল গুরুং, বিনয় তামাংরা ফের একজোট হচ্ছেন। তাঁদের সঙ্গে এক মঞ্চে সিপিএমও। সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক তথা প্রাক্তন সাংসদ সমন পাঠক প্রথমবার তাঁদের সঙ্গে প্রকাশ্য মঞ্চে। রয়েছে হিল কংগ্রেস সহ ২২টি রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক সংগঠন। আজ দার্জিল ং পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন। অনিত থাপার নেতৃত্বে বিজিপিএম এদিন সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবে। তাদের সঙ্গে রয়েছে শুধু তৃণমূল। নয়া এই জোট নিয়ে পাহাড়ের রাজনীতি উত্তপ্ত হচ্ছে।
নয়া এই জোট ফের নতুন করে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে ধরেই পাহাড়ে নতুন করে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তৈরি করতে চাইছে। তাতে যোগ দিয়েছে অনিত বিরোধীরা। যদিও প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ইস্যু ও দৃষ্টিভঙ্গী আলাদা। কিন্তু প্রতিটি দলই পাহাড়ে কোণঠাসা হয়ে যাওয়ায় অস্তিত্ত্ব সংকটে ভুগছে। ফলে তাদের এ ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। চব্বিশেই ফের লোকসভা নির্বাচন। তাই তার আগে পৃথক 'গোর্খাল্যান্ডের' দাবি নিয়ে কেন্দ্রের উপরে চাপ সৃষ্টি করতে চাইছেন এডওয়ার্ডরা। একজোট হয়ে লড়ার রণকৌশল তৈরি করছেন।
সুভাষ ঘিসিং পরবর্তী জমানার পাহাড়ের একদা একচ্ছত্র অধিপতি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ জানান, পাহাড়ের সাধারণ মানুষ ভাল নেই। রাজ্য এবং কেন্দ্রকে আমরা এই বার্তাই দিতে চাইছেন তাঁরা। তাঁরা বিজেপি এবং তৃণমূল বর্জিতভআবে পাহাড়বাসীর দাবি আদায়ের সঙ্গে থাকতে চান। যদিও বিরোধীদের মঞ্চকে কটাক্ষ করে বিজিপিএম সভাপতি ড্রামা বলে আখ্যা দেন। বিজিপিএমের সভাপতি অনীত থাপা বলেন, কিছুদিন আগে পর্যন্ত কেউ কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। এখন কীভাবে একজোট হয়ে গেলেন। তাঁদের একটাই উদ্দেশ্য অনিত থাপাকে আক্রমণ করা। জোটে ভাঙন সময়ের অপেক্ষা। অন্যদিকে হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড অনিতকে গুরুত্ব নয়, গোর্খাল্য়ান্ডই মূল উদ্দেশ্য।
সোমবার দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন। অনিত থাপাদের ১৪ জন কাউন্সিলর, তৃণমূলের ২ জন মিলিয়ে ১৬ জন কাউন্সিলর নিয়ে রবিবার দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকও করেছেন অনিত। ইতিমধ্যেই দীপেন ঠাকুরির নাম চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছে বিজিপিএম। অন্যদিকে, হাল ছাড়ছে না হামরো পার্টিও। মোর্চার ৩ এবং নিজেদের ১২ মিলিয়ে ১৫ জন কাউন্সিলর হাজির হবেন। এর মধ্যে গোপন ব্যালটে কাজ হতে পারে।