Advertisement

এক সপ্তাহ বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত, থমকে গেল চ্যাংরাবান্ধা

এক সপ্তাহের জন্য থমকে গেল বাংলাদেশের সীমান্ত চ্যাংরাবান্ধা। পিছিয়ে গেল এ পথে ইলিশের আমদানি। এক সপ্তাহ পরে ট্রাফিক জ্যামের বাসিন্দা। উপায় কী ?

প্রতীকী ছবি
সংগ্রাম সিংহরায়
  • উত্তরবঙ্গ,
  • 19 Jul 2021,
  • अपडेटेड 10:40 AM IST
  • এক সপ্তাহ বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চ্যাংরাবান্ধা
  • ইলিশ আসা পিছোল এক সপ্তাহ
  • থমকে এলাকা, থমকে উত্তরবঙ্গের ব্যবসা

এক সপ্তাহ বন্ধ সীমান্ত

ভারত বাংলাদেশের জলপাইগুড়ি লাগোয়া কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে টানা ছদিন বন্ধ করে দেওয়া হল সমস্ত রকম আমদানি-রফতানি ও যাতায়াত। ফলে এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ হয়ে গেল ভারত-বাংলাদেশ এবং ভুটান-বাংলাদেশ বৈদেশিক বাণিজ্য।

২৪ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ লাগু

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সোমবার থেকে আগামী ২৪ জুলাই অবধি চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে ভারত এবং ভুটান থেকে কোনও পণ্য বাংলাদেশে পাঠানো হবে না। তেমনই বাংলাদেশ থেকেও পণ্য আমদানি পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।

ঈদ উপলক্ষে এই সিদ্ধান্ত

ঈদ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে দেশের ব্যবসায়ীরা অবশ্য একথা লিখিতভাবে আগাম জানিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীদেরও। ফলে স্থানীয় ও রাজ্যের ব্যবসায়ীদের তেমন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও  তবু বাইরের রাজ্য থেকে অনেকেই মাল নিয়ে আগেই রওনা হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁরা এসে পড়েছেন। ফলে তাঁদের এক সপ্তাহ সীমান্তেই দাঁড়িয়ে থাকতে হবে বলেই ব্যবসায়ীদের একটি অংশ জানিয়েছেন। চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সম্পাদক বিমল কুমার ঘোষ, ‘ঈদ উপলক্ষে বৈদেশিক বাণিজ্য বন্ধ থাকছে। ওপার থেকেই কদি’ন পণ্য না পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।’

ইলিশ আসা পিছোল

এই সীমান্ত দিয়ে চলতি সপ্তাহেই আসার কথা ছিল ইলিশ। সীমান্ত বন্ধের ফলে পিছিয়ে গেল ইলিশ আমদানি। ফলে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার সহ উত্তর দিনাজপুর ও বিহারে ইলিশ পৌঁছতে আরও এক সপ্তাহ দেরি হবে। পাশাপাশি ডায়মন্ডহারবারা কিছু ইলিশ ওঠায় বাংলাদেশের ইলিশ আসার আগেই ইলিশের বাজার দখল করে নিতে পারে ডায়মন্ডহারবারের কাঁচা ইলিশ।

আপাতত সীমান্ত থমকে

উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকায় এক সপ্তাহের জন্য থমকে গেল বাণিজ্য। ফলে আগাম জানানো সত্ত্বেও অনেকেই পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্তে দাঁড়িয়ে পড়ল। তাঁদের স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আপাতত কিছু করার নেই। বাংলাদেশ থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে একদিকে যেমন ওদিকে কোনও পণ্য যাবে না, ওদিক থেকেও তেমন পণ্য আসবে না।

Advertisement

নানা সামগ্রীর ভরসা এই সীমান্ত

চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত দিয়ে চিনি, বালি, পাথর, চাল, তুলা, বস্ত্র, কয়লা সহ বিভিন্ন সামগ্রী আমদানি-রপ্তানি হয়।বাংলাদেশের চ্যাংড়াবান্ধা লাগোয়া এলাকার মানুষের জন্য ভারতে প্রবেশের অন্যতম প্রধান পথে চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত, বিশেষ করে শিলিগুড়ি লাগোয়া ফুলবাড়ি সীমান্তে সব পণ্য পাঠানো সম্ভব হয় না। তাই বেশিরভাগ পণ্য এবং যাত্রী একসঙ্গে প্রবেশের জন্য এই সীমান্ত ব্যবহার করে থাকেন।

ট্রাফিক জ্যামের আশঙ্কা

এক সপ্তাহের বেশি বন্ধ থাকার ফলে যখন সীমান্ত খুলবে তখন একবারে পণ্য আমদানি রপ্তানিতে ট্রাফিক জ্যাম তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফেও করোনা বিধি মেনে যাতে বাংলাদেশ থেকে এদেশে এবং ওদেশে বাংলাদেশের পণ্যসহ মানুষ যেতে পারে, সে বিষয়ে কড়া সর্তকতা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement