জঙ্গল টি সাফারির (Jungle Tea Safari) প্রথম দিনই মাঝপথে থমকে গেল টয়ট্রেনে। জলের অভাবে বেশ কয়েকঘণ্টা শুকনা স্টেশনে দাঁড়িয়ে রইল টয়ট্রেনটি। পর্যটক না থাকলেও প্রথম দিনের এই ঘটনায় খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পরিষেবার মান ও কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে। অন্যদিকে দায়িত্বে থাকা কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রেল।
করোনার কারণে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রভূত ক্ষতির মুখে উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির মেরুদণ্ড পর্যটন শিল্প। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় উত্তরবঙ্গে যাওয়া শুরু করেছেন পর্যটকরা। এবার তাই পুজোর আগে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্পকে ছন্দে ফেরাতে তৎপর সরকার ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। আর সেই কারণেই উত্তরবঙ্গের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে তুলতে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের (North Eastern Frontier Railway) তরফে সোমবার চালু করা হয় শিলিগুড়ি-রংটং জঙ্গল টি সাফারি (Jungle Tea Toy Train Safari)। ঢাকঢোল পিটিয়ে এই সাফারি শুরু হলেও প্রথম দিনেই ঘটল বিপত্তি। এদিন একটি ডাইনিং ও ভিস্তাডোম কোচ নিয়ে রংটংয়ের দিকে রওনা দেয় ট্রেনটি। প্রথম দিন ট্রেনে যাত্রী হিসেবে ছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তবে প্রথমদিনেই জঙ্গল সাফারি মাঝপথে ঘটল বিভ্রাট।
জানা গিয়েছে ট্রেনটি সাফারি করে ফেরার সময় শুকনা স্টেশনে এসে আটকে পড়ে। কারণ ট্রেনের ইঞ্জিনে জল ছিল না। সেই সময় কর্তব্যরত রেল কর্মীরা ইঞ্জিনে জল ভরার কাজ শুরু করেন। কিন্তু ইঞ্জিনে পর্যাপ্ত পরিমানে জল ভরার আগেই স্টেশনের ট্যাঙ্ক শূন্য হয়ে যায়। যার জেরে বেশ কয়েকঘণ্টা শুকনা স্টেশনেই দাঁড়িয়ে থকতে হয় ট্রেনটিকে। এরপর তিনধারিয়া স্টেশন থেকে জলের ট্যাঙ্ক নিয়ে ভরার পর শিলিগুড়িতে ফেরে ট্রেনটি। জঙ্গল সাফারির মাঝপথে এই ধরনের বিঘ্ন ঘটায় রেলের কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এই প্রসঙ্গে ট্যুর অপারেটর সম্রাট সান্যাল বলেন, পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে স্টিম ইঞ্জিন দিয়ে এই ধরনের জঙ্গল সাফারি সত্যিই রেলের একটি ভাল উদ্যোগ। তবে এই ধরনের সাফারি শুরুর আগে অন্তত দু'বার পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। অন্যদিকে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক গুনিত কৌর বলেন, স্টিম ইঞ্জিন কয়লা দিয়ে চলে তাই জলের প্রয়োজন হয়। যেহেতু গতকালই প্রথম যাত্রা ছিল তাই কর্মীরা সবকিছু সঠিক ভাবে ব্যবস্থা করে উঠতে পারেননি। এই ধরনের সমস্যা ভবিষ্যতে আর হবে না। যদিও ঘটনার পরেই রেলকর্মীরা তৎপরতার সঙ্গে কাজ করে ট্রেনটিকে শিলিগুড়িতে (Siliguri Junction) ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। তবে শুকনা রেলস্টেশনের ট্যাঙ্কে যেহেতু জল ছিল না, তাই যাঁরা ওই দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রেল।