সপ্তাহ দুয়েক ধরে এলাকায় ভাল্লুকের আনাগোণা শুরু হয়। যাতে রাতের তো বটেই, দিনেও ঘোরাফেরা করতে ভয় পাচ্ছিলেন এলাকাবাসী। থরহরিকম্প শুরু হয়ে গিয়েছিল এলাকাবাসীর। আগে বাগানের ১২ ও ১৩ নাম্বার সেকশনের মধ্যবর্তী এলাকায় বন দফতরের তরফে ওই খাঁচা পাতা হয়। শনিবার ভোরে বাগানের শ্রমিকেরা ওই এলাকায় চিতাবাঘের গর্জন শুনতে পায়। ফলে আতঙ্ক আরও বেড়ে যায়। আওয়াজের উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখতে পান ভাল্লুকের জন্য পাতা খাঁচায় বন্দি চিতাবাঘ।
আরও পড়ুনঃ মেক্সিকোর বিরুদ্ধে গোলের পর মেসির স্বপ্নের দৌড়, দেখুন PHOTOS
ভালুক ধরার জন্য পাতা খাঁচায় বন্দি হল চিতাবাঘ। ডুয়ার্সের চা বাগানে ভালুকের আতঙ্ক ছড়ানোয় খাঁচা পেতেছিলেন বনকর্মীরা। কিন্তু তাতে বন্দি হল চিতাবাঘ। শনিবার ভোটে জলাইগুড়ির মেটেলি ব্লকের কিলকোট চা বাগানের ঘটনা। বন দফতর সূত্রের খবর, ওই এলাকায় কিছু দিন আগে ভালুকের দেখা পেয়েছিলেন কয়েক জন গ্রামবাসী। এর পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় প্রায় দু’সপ্তাহ আগে চা বাগানের ১২ এবং ১৩ নম্বর সেকশনের মধ্যবর্তী এলাকায় বন দফতরের তরফে ওই খাঁচা পাতা হয়। সেই খাঁচাতেই শুক্রবার গভীর রাতে ধরা পড়ে পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘটি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার ভোরে বাগানের শ্রমিকেরা ওই এলাকায় চিতাবাঘের গর্জন শুনতে পান। কাছে গিয়ে তাঁরা দেখেন একটি চিতাবাঘ খাঁচায় বন্দি হয়েছে। চিতাবাঘ ধরা পড়ার খবর চাউর হতেই বহু মানুষের ভিড় জমে যায়। খবর দেওয়া হয়, বনবিভাগের খুনিয়া স্কোয়াডে। বনকর্মীরা এসে খাঁচা-সহ চিতাবাঘ গরুমারায় নিয়ে যান।
আরও পড়ুনঃ নব-দম্পতিদের জন্য আদর্শ দার্জিলিংয়ের এই হানিমুন স্পটগুলি, জেনে নিন
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের গোড়ায় কিলকোট চা বাগানে ভালুকের আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। বাগানে কাজ করার সময় কয়েক জন শ্রমিক ভালুক দেখতে পান বলে দাবি। ওই দিনই বনকর্মীরা এসে খোঁজ চালালেও ভালুকের কোনও হদিস মেলেনি। এর পর ভালুক ধরার জন্য বন দফতরের তরফে খাঁচা বসানো হয়। সেই খাঁচাতেই ওই চিতাবাঘটি ধরা পড়ে। খুনিয়া স্কোয়াড সূত্রে জানা গিয়েছে, চিতাবাঘটি সুস্থ থাকায় সেটিকে শনিবার সকালেই গরুমারা জাতীয় উদ্যানে ছাড়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।