Siliguri To Dhaka Mitali Express:পঞ্চমীর দিন সকালে রেকর্ড সংখ্যক যাত্রী নিয়ে ভারতে এল ভারত-বাংলাদেশ মিতালি এক্সপ্রেস (Mitali Express)। শুক্রবার মোট ৩৯৭ জন যাত্রী এই ট্রেনটিতে করে ভারতের হলদিবাড়ি সীমান্ত দিয়ে এদেশে প্রবেশ করে। সাধারণ যাত্রীর পাশাপাশি বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএম মাসুদ হাসানও সপরিবার ভারত ভ্রমণে আসেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, সিকিম ঘুরে দেখার কথা রয়েছে তাঁর।
বাংলাদেশ রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ঢাকা থেকে যাত্রা করা এই ট্রেনটিতে সফর করার জন্য ৪০৭ জন যাত্রী বুকিং করেছিলেন। কিন্তু শেষমেশ ৩৯৭ জন যাত্রী ট্রেনটিতে চাপেন। ভারতে আসার জন্য এই ট্রেনে এদিন চাপেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এম মাসুদ হাসান। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর পরিবারের তিনজন সদস্য। ভারতে এসে শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, সিকিম ঘুরে দেখার কথা রয়েছে বাংলাদেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এবং তাঁর পরিবারের।
মিতালি এক্সপ্রেসের বাংলাদেশের সহকারী লোকো মাস্টার মহম্মদ মাজেদ মিয়াঁ জানিয়েছেন, দুর্গাপুজো উপলক্ষে বাংলাদেশে সাতদিনের সরকারি ছুটি রয়েছে। আর সেই ছুটি কাটাতে বাংলাদেশের অনেকে ভ্রমণের গন্তব্য হিসাবে এপার বাংলার উত্তর অংশকে বেছে নিয়েছেন। তার কারণ, দ্রুত পৌঁছনো যায়, আর শিলিগুড়িকে ঘিরে হাজারটা ভ্রমণকেন্দ্র রয়েছে। হাতের কাছে এমন মনোহর বিদেশ থাকলে কেই বা হাতছাড়া করতে চায়? এছাড়াও সম্প্রতি ভুটানের গেট খুলে যাওয়ায় পর্যটকদের মধ্যে উৎসাহ দ্বিগুণ হয়েছে। এদিন নির্ধারিত সময়ের প্রায় দু’ঘণ্টা দেরিতে হলদিবাড়ি স্টেশনে পৌঁছয় ট্রেনটি। ফলে সেখান থেকে ছেড়ে এনজেপির উদ্দেশে রওনা হতেও দেরি হয়।
উল্লেখ্য এর আগে গত জুলাই মাসে ঈদের কারণে ১১ দিন বন্ধ ছিল ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রীবাহী এক্সপ্রেস ট্রেন মিতালি এক্সপ্রেস। ১১ দিন বিরতির পর যখন ট্রেনটি চালু হয়, তাতে যাত্রী হয়েছিল ২২৬ জন। তার আগে করোনা পরিস্থিতির জেরে বন্ধ ছিল মিতালি এক্সপ্রেসের পরিষেবা। গত জুন মাসের ১ তারিখে ‘মিতালি এক্সপ্রেস’ পুনরায় যাত্রা শুরু করে। প্রথম দিকে কয়েক সপ্তাহ যাত্রী সংখ্যা কম থাকলেও ধীরে ধারে প্রতিটি যাত্রাতেই যাত্রী বেড়েছে।
কবে কবে চলে ট্রেনটি
সপ্তাহে দুদিন করে ট্রেনটি চলে। রবিবার ও বুধবার মিতালি এক্সপ্রেস নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকায় এবং সোম ও বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়িতে চলাচল করে। উল্লেখ্য ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার লক্ষ্য নিয়ে দুই বাংলার মধ্যে এই যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করে।