পশ্চিমবঙ্গের আলাদা আলাদা এলাকায় সারাদিনে দু'শোর বেশি তাজা বোমা উদ্ধারের ঘটনায় গোটা রাজ্যের মুখ পুড়েছে। গোটা রাজ্যে লাগাতার বোমা উদ্ধারের অভিযোগের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদেশ দিয়েছেন পুলিশকে বড় পরিসরে তল্লাশি চালাতে এবং তার নির্দেশ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। কেন এত অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা দরকার বলে দাবি তুলেছেন বিরোধীরা। মুর্শিদাবাদের দুটি থানা এলাকা থেকে ১৪০ টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। সেই সঙ্গে উদ্ধার হচ্ছে গোলাবারুদ ও অস্ত্র।
রেজিনগরে তাজা বোমা উদ্ধার
রবিবার সকালে পুলিশ রেজিনগর থানা ক্ষেত্র থেকে একটি চাষের জমি থেকে তিন ড্রাম বোমা উদ্ধার করেছে। পুলিশ এখন পুরো এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে তল্লাশি শুরু করেছে। ডিসপোজাল স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে। রেজিনগর পুলিশের খবর অনুযায়ী এলাকায় ৩১টি তাজা বোমা পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের বম্ব ডিস্পোজাল স্কোয়াডের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং সেখানে ওই মামলায় পুলিশ বহু লোককে গ্রেপ্তার করেছে। রাণীনগর থানা এলাকা থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। সেখানে মারগ্রাম্র একটি জায়গা থেকে পাইপগান এবং চারটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে।
বীরভূমের দুটি আলাদা আলাদা জায়গা থেকে পাওয়া গেছে ১৭০ টি বোমা।
একদিন আগেই পশ্চিমবাংলার বীরভূম জেলা থেকে রামপুরহাটে বোমা পাওয়া গিয়েছে। চারটি বালতির মধ্যে রাখা ছিল বোমাগুলি। নির্মীয়মান বাড়ির মধ্যে বালতিগুলি লুকানো ছিল। এই ঘটনা নিয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন যে তদন্ত শুরু হয়েছে পুলিশ সূত্রের খবর শুক্রবার থেকে এখনও পর্যন্ত পুরো বীরভূমে মোট ১৭০ টি বোমা রয়েছে। রামপুরহাটে-এ বগদুই থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে মারগ্রামে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে পুলিশ চারটি বালতি উদ্ধার করে যার মধ্যে ৪০ টি বোমা রাখা ছিল।
শুক্রবার পাঁচ বালতি কাঁচা বড় বোমা থেকে উদ্ধার হয়েছে। এর আগে বীরভূমে হিংসার ঘটনা ঘটে। কয়েকটি বাড়ি জালিয়ে দেওয়া হয়। তার মধ্যে জীবন্ত পুড়ে মারা যান কয়েকজন। এই মামলা সিবিআই অ্যাকশনে রয়েছে। এই মামলার ঘটনায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে সিবিআই দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত সমস্ত ধারা লাগু করেছে।
তৃণমূল নেতা হত্যা এবং তারপর শুরু হয় হিংসা
আসলে বীরভূম জেলার রামপুরহাট এর তৃণমূল নেতা হত্যার পর থেকে হিংসা ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। এখানে বেশ কিছু বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে দগ্ধ হয়ে দুটি বাচ্চা সমেত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপর থেকে গোটা রাজ্য অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে।