টানা ভারী বৃষ্টির জেরে পাহাড়ে ফের ধস নামল বৃহস্পতিবারও। অন্য়দিকে শিলিগুড়িতে বালাসন নদীতে কয়েক জায়গায় ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে বালাসনের ডাইভারসন ব্রিজ। ভারী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জলপাইগুড়ির একাধিক জায়গায় টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে।
পাহাড়ে ধস
পাহাড়ে লাগাতার বর্ষণে ফের ধস নামে বৃহস্পতিবার। নতুন করে ধস নেমেছে সিকিমের একাধিক জায়গায়। ইয়ুমথাং ভ্যালি থেকে লাচুং সহ একাধিক জায়গায় ধস নেমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে দুই এলাকার মধ্যে। একাধিক জায়গায় পাহাড় থেকে তুমুল বেগে বৃষ্টির জল রাস্তার উপর দিয়ে বইছে। যাতায়াত প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক জায়গায়।
কোথায় কোথায় ধস
২০ মাইলে সিংতাম এবং রংপোর মাঝে বড় ধরনের ধস নেমেছে। এর জেরে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে সিকিমের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সড়ক যোগাযোগ। মাঝপথে আটকে বিপাকে পড়েছেন বহু পর্যটক। সিকিমের পাশাপাশি কালিম্পংয়ের বেশ কয়েকটি জায়গায় ধস নেমেছে বলে খবর। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলেছে আবহাওয়া দপ্তর।
একাধিক নদী জলস্ফীতিতে ফুঁসছে
উত্তরের তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, কালচিনি সহ বিভিন্ন নদীতে জলস্তর বৃদ্ধির পেয়েছে। এখনও বিপদ সঙ্কেত না ছুঁয়ে ফেললেও নজরে রাখা হচ্ছে নদীগুলিকে। প্রতি বর্ষায় বন্যার কারণ হয় নদীগুলি। তাই সতর্ক প্রশাসনও।বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে এবং উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করায়। উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে আরও কয়েকদিন। পাহাড়ে টানা বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই জলঢাকা এবং তিস্তা নদীতে অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সংকেত জারি করা হয়েছে।
জলপাইগুড়িতে জল
রাতভর বৃষ্টিতে গয়েরকাটা এলাকায় বহু বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ঘরে জল ঢুকে যাওয়ায় জেগে রাত কাটাতে হয়েছে অনেককেই। উনুন এবং জ্বালানি ভিজে যাওয়ায় খাওয়া-দাওয়াও বন্ধ। বিপাকে শতাধিক মানুষ।
বালাসনে ফের সমস্যা, কলকাতাগামী গাড়ি ঘুরপথে পাঠানো হবে
বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে মাটিগাড়ায় বালাসন নদীর ওপর ডাইভার্সন ব্রিজ। ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যেকোনও মুহূর্তে বিপত্তি আরও বাড়তে পারে। পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়তে পারে বালাসন নদীর ওপর এই ব্রিজ। পাহাড়ে কয়েকদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টির ফলে বালাসন নদীতে জল বেড়েছে। হিউম পাইপ দিয়ে তৈরি অস্থায়ী সেতুটির সংযোগকারী রাস্তা নদীর জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই রাস্তা মেরামতির কাজ চলছে। আপাতত ওই রাস্তায় ভারী গাড়ি চলাচল বন্ধ। দক্ষিণবঙ্গগামী গাড়িগুলিকে ফুলবাড়ি হয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে।