Advertisement

বন্যাত্রাণের টাকা লুঠের অভিযোগ, মালদায় তৃণমূলের প্রধানের বাড়ি সিল করল পুলিশ

বন্যাত্রাণের জন্য পঞ্চায়েতে পাঠানে টাকা লুঠ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল পরিচালিত বরুই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সোনামণি সাহার বাড়ি সিল করল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

বরুইপুর পঞ্চায়েত
মিল্টন পাল
  • মালদা,
  • 20 Jan 2022,
  • अपडेटेड 11:43 AM IST
  • বন্যাত্রাণের টাকা লুঠের অভিযোগ
  • মালদায় তৃণমূল প্রধানের বাড়ি সিল করল পুলিশ
  • প্রধান এখনও ফেরার, খোঁজ চলছে

বন্যা ত্রাণের জন্য আসা টাকা লুঠের ঘটনায় মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল পরিচালিত বরুই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সোনামণি সাহার বাড়ি সিল করল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। শুরু হয়েছে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া। এই ঘটনায় শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূলের দাবি আইন আইনের পথে চলবে।

বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনা মনি সাহা বন্যা ত্রাণের টাকা লুটপাট করেছেন। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সদস্য আব্দুল মান্নান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও ও পুলিশকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রধানের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও।

এরপর থেকে ফেরার হয়ে যায় ওই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। ওই প্রধানের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করতে বাধ্য হয় আদালত। এক মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও গ্রেফতার হয়নি ওই প্রধান। এমনকী আত্মসমর্পণও করেননি তিনি। এরপরই আদালতের নির্দেশে সোনামণি সাহার বাড়ির সিল করে দেয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি কত রয়েছে সেই বিষয়ে খোঁজ-খবর শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

যদিও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সদস্য আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, যেখানে প্রধানকে পাওয়া যাচ্ছে না সেখানে তিনি হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করছেন। এখানে পুলিশের ভূমিকা ভাল নয়। রাজনৈতিক কারণে প্রধানকে ধরা হচ্ছে না। কারণ প্রধান গ্রেফতার হলে অনেক তাবড় তাবড় নেতার নাম উঠে আসবে।

Advertisement

সুযোগ বুঝে শাসক দল তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়েনি বিজেপিও। হরিশ্চন্দ্রপুরের বিজেপির মন্ডল সভাপতি রূপেশ আগরওয়াল বলেন, আদালতে বিচারাধীন বিষয়। তদন্ত যদি সঠিক পথে হয় তাহলে তৃণমূলের বড় বড় নেতারা ধরা পড়বে।

এই বিষয়ে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, প্রধানের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট রায় দিয়েছে জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে দল কোনো আপোষ করবে না। দুর্নীতির বিষয়ে আইন ও প্রশাসন যা সিদ্ধান্ত নেবে এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করবে।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement