Advertisement

অধ্যাপকের পচাগলা কঙ্কাল দেহ উদ্ধার খড়্গপুর আইআইটি কোয়ার্টার থেকেই

প্রায় দু'মাস খোঁজ রাখেনি কেউ, অধ্যাপকের পচা গলা শবদেহের কঙ্কাল উদ্ধারের পর টনক নড়েছে কর্তৃপক্ষেরও। খড়্গপুর আইআইটি কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হলো প্রায় কঙ্কালে পরিণত হওয়া শব।

প্রতীকী ছবি
শাজাহান আলী
  • খড়্গপুর,
  • 24 Feb 2022,
  • अपडेटेड 11:03 PM IST
  • অধ্যাপকের পচাগলা কঙ্কাল দেহ উদ্ধার
  • খড়্গপুর আইআইটি কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার দেহ
  • পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়

অমানবিক! মর্মান্তিক। একজন পরিচিত অধ্য়াপকের করুণ পরিণতিতে শিউরে উঠছেন ক্যাম্পাস থেকে আশপাশের লোকজন। প্রায় দু'মাস খোঁজ রাখেনি কেউ, অধ্যাপকের পচা গলা শবদেহের কঙ্কাল উদ্ধারের পর টনক নড়েছে কর্তৃপক্ষেরও। খড়্গপুর আইআইটি কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হলো প্রায় কঙ্কালে পরিণত হওয়া শব।

খড়্গপুর আইআইটি ক্যাম্পাসে নিজের কোয়ার্টার (বি- ৫৮ আইআইটি) থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হল এক অধ্যাপকের শবদেহ। বৃহস্পতিবার দুপুরে আইআইটি কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে খড়্গপুর টাউন থানার তরফে মৃতদেহ উদ্ধার হল !

পুলিশ ও আইআইটি সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃত অধ্যাপকের নাম সতীনাথ ভট্টাচার্য। বয়স আনুমানিক ৫২। তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। নিজের কোয়ার্টার থেকে তাঁর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কীভাবে মৃত্যু তা জানার জন্য দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

জানা গিয়েছে, গত প্রায় দু'মাস ধরে তাঁর কোন খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছিল না ! ডিপার্টমেন্টেও যাওয়া আসা বন্ধ ছিল। লকডাউনে তেমন ক্লাস না থাকায় তেমন গুরুত্ব দেননি কেউই। তবে কিছুদিন আগে লকডাউনের পর অষ্টম শ্রেণি উর্ধ্বে সমস্ত স্কুল-কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যায়। তারপর ডিপার্টমেন্ট খুলে যাওয়ার পরেও ক্লাসে না যাওয়ায় আইআইটি কর্তৃপক্ষ তাঁর খোঁজখবর চালাচ্ছিল। কিন্তু ফোন বন্ধ। কোথায় গিয়েছেন অধ্যাপক তা জানা যায়নি। শেষমেষ পুলিশের দ্বারস্থ হয় আইআইটি কর্তৃপক্ষ।

অবশেষে, পুলিশকে খবর দেওয়ার পর পুলিশ এসে সকলের উপস্থিতিতে, বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর বাড়ি খুলে দেখে বিছানায় পচা-গলা দেহ পড়ে রয়েছে। পুলিশের দাবি, অসুস্থ হয়ে তিনি মারা গিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। দেহ উদ্ধার করে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অধ্যাপকের পরিবারের কেউ নেই, খোঁজ খবর নেওয়ার কেউ ছিলনা। তবে, আইআইটি কর্তৃপক্ষ এত দেরি করে খোঁজখবর শুরু করায় বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে! এ বিষয়ে যদিও কর্তৃপক্ষের তরফে কেউ মুখ খোলেননি।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement