Coachbehar Level Crossing: টানা তিনদিন ধরে বন্ধ রয়েছে লেভেল ক্রসিংয়ে গেট। রেললাইনের এপার থেকে ওপারে যেতে সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কোচবিহারের হরিণচওড়া এলাকায় আচমকা লেবেল ক্রসিং বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ার চেয়ে অবাক এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, ওই রাস্তা দিয়ে রোজ কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। সংলগ্ন এলাকাতেই রয়েছে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। তাঁদের সকলেরই ভোগান্তি বাড়ছে। কেন হঠাৎ রেলগেটটি তিনদিন ধরে বন্ধ, তার উত্তর দিতে পারেননি সেখানে কর্তব্যরত রেলকর্মীরা। সমগ্র বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এলাকার মানুষ বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনে নামার কথা বলছেন। বুধবার স্থানীয়দের একাংশ সেখানে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন।
রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম দিলীপকুমার সিং জানিয়েছেন, রেলের হিসেবে দু'ধরনের রেলগেট রয়েছে। এক ধরনের গেট সারাদিন খোলা থাকে। ট্রেন যাতায়াতের সময়টুকু কেবল গেট বন্ধ করা হয়। আরেকটি হয় ক্লোজ টু রোড ট্রাফিক গেট। যেখানে সবসময় গেট বন্ধ থাকার কথা। ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন যাওয়ার প্রযোজন হলে তবেই গেট খোলা হবে। হরিণচওড়ার যে গেট নিয়ে সমস্যা হচ্ছে সেটি ক্লোজ টু রোড ট্রাফিক গেট। তাই বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা মাথায় রেখে আগামীদিনে কীভাবে সমস্যা মেটানো যায়, তা দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ডিআরএম।
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কোচবিহার শহর থেকে এই রাস্তা দিয়ে গুড়িয়াহাটি-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। সেই সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রী এই রাস্তা দিয়ে যান। সারাদিন বন্ধ থাকলে পড়ুয়াদের সকলকেই অনেকটা ঘুরে কলেজে আসতে হচ্ছে। ওই রেলগেট বন্ধ থাকায় দিনহাটা-কোচবিহার বড় রাস্তায় যানজট তৈরি হচ্ছে। কিন্তু বিকল্প রাস্তা মিলছে না। ফলে যানজট বাড়ছে। এত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় থাকা রেলগেট সারাদিন বন্ধ রাখা হচ্ছে কেন, তা নিয়ে ক্ষুব্ধ সকলেই।গুড়িয়াহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে দ্রুত গেট না খোলা হলে আন্দোলনে নামার হুমকি দেওয়া হয়েছে।