করোনা(Covid) আবহে বন্ধ হয়ে যাওয়া টয়ট্রেন(Toy Train) অনেক আশা নিয়ে মাত্র চারদিন আগে খুলে গিয়েছিল। চারদিনের মধ্যেই ফের বিপত্তি। রেল (Rail) লাইনে ধস(Land Slide) নেমে বন্ধ হয়ে গেল টয়ট্রেনের যাত্রা। রবিবার (Sunday) ২৯ অগাস্ট পর্যন্ত আপাতত যাত্রা স্থগিত করে দেওয়া হল। ধস সরিয়ে লাইন মেরামতি হলে ফের যাত্রা শুরু করা হবে।
মাঝপথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনগুলি
ধসের জন্য শনিবারও টয়ট্রেন এনজেপি থেকে দার্জিলিং পৌঁছোতে পারেনি। যে ট্রেনটির ফেরার কথা ছিল, সেটিও দার্জিলিং(Darjeeling) থেকে এনজেপি(Njp)তে ফিরতে পারেনি। দার্জিলিংয়ে যাওয়ার পথে গয়াবাড়ি(Gayabari) পার হওয়ার আগেই ধস নামে। ফলে ওই ট্রেনটিকে গয়াবাড়ি থেকেই ফের এনজেপিতে ফিরিয়ে আনে রেল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, এনজেপিগামী ট্রেনটিকে মহানদী(Mahanadi) এলাকা থেকে ফেরত পাঠানো হয়।
রবিবার লাইন মেরামতির জন্য পরিষেবা বন্ধ
রেলসূত্রের খবর, মহানদী এবং গয়াবাড়ি স্টেশনের মাঝেই মূল ধসটি নামে। লাইনও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই ট্রেনগুলিকে ফেরানো হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের দফতর জানিয়েছে, ধসের কারণে শনিবার টয়ট্রেন দার্জিলিং যেতে পারেনি। রবিবার লাইন মেরামতির জন্য পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে।
জয় রাইড চলবে
তবে জয় রাইড চলবে। ওই জয় রাইড কার্শিয়াং থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত চলে, সেটা স্বাভাবিকভাবে চলবে।
ছন্দে ফেরার আশা
করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের দরুণ দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল টয়ট্রেনের যাতায়াত। বহু প্রতীক্ষার পর পর্যটন সার্কিটের মুখে হাসি ফুটিয়ে চার দিন আগেই এনজেপি-দার্জিলিং টয়ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ (ডিএইচআর) এর তরফে আশা প্রকাশ করা হয় এক সপ্তাহের মধ্যেই ছন্দে ফিরবে টয়ট্রেন।
উপায় নেই
প্রথম দুদিন যাত্রী তেমন হয়ন। ফলে আপাতত দুএকদিন বন্ধ থাকলে আর্থিক ক্ষতি তেমন হবে না। তবে চালু ট্রেন বন্ধ হলে একটা ধাক্কা তৈরি হয় পর্যটন মননে। তা কিছুটা হবে। কিন্তু কিছু উপায় নেই বলে রেল আধিকারিকদের দাবি।
টানা বৃষ্টিতেই বিপত্তি
গত এক সপ্তাহ ধরে একটানা বৃষ্টির কারণে পাহাডে়র বেশ কিছু জায়গায় ধস নেমেছিল। তাতে একটা আশঙ্কা তৈরি হচ্ছিল। শনিবার আশঙ্কাকে সত্যি করে লাইনে ধস নামে। এর জেরে ফের বন্ধ হয়ে গেল পরিষেবা। এখন যত দ্রুত তা চালু হয় ততই পর্যটনের জন্য মঙ্গল। কারণ চারিদিকে সমস্ত স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে, এর মাঝে অন্যতম আকর্ষণ হেরিটেজ টয়ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হলে পর্যটক আকর্ষণ ধাক্কা খাবে।