অতিভারী বৃষ্টি চলছে
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী প্রায় বিধি মেনেই উত্তরবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টি চলছে গত তিনদিন থেকেই। মঙ্গল বার থেকেই তা শুরু হয়েছে। উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টি চলছে। বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত একাধিক জায়গায় বজ্রপাতের খবর মিলেছে। তাতে হতাহত রয়েছে।
একাধিক ব্যক্তি জখম, ক্ষতিপূরণ চান
দিনভর বজ্রপাতে একাধিক জায়গায় একাধিক ব্যক্তি জখম হয়েছেন বলে খবর। মারা গিয়েছে গবাদি পশুও। দক্ষিণবঙ্গে বজ্রপাতে মৃতদের সাহায্য মিলেছে। উত্তরবঙ্গের সেই ধরনের সাহায্য পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন দুঃস্থ পরিবারগুলি। কিছুটা সাহায্য মিলিয়ে চিকিৎসার খরচ উঠতে পারে বলে তারা মনে করছেন।
নকশালবাড়িতে জোড়া জখম
শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ির ব্লকে বাজ পড়ে গুরুতর জখম হয়েছেন দু'জন। এদের মধ্যে একজনকে নকশালবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলেও পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জখম ছায়া মল্লিক ও বিকাশ বর্মন, তাঁরা দুজনেই একই সঙ্গে পাশাপাশি হাঁটছিলেন। বুধবার দুপুর নাগাদ আচমকাই তাদের উপর বাজ পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে গ্রামবাসীরা ছুটে এসে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ডুয়ার্সেও বাজ পড়ে জখম আরও এক
অন্যদিকে ডুয়ার্সের বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোরাঘাট এলাকায় এদিন ভোরে এক ব্যক্তির উপরে বাজ পড়ে মুষলধারায় বৃষ্টির সময় ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর বাড়িতে টিনের চালে বাজ পড়লে দেব লোহার নামে ওই ব্যক্তির পিঠে গুরুতর আঘাত লাগে। তাঁকে বানারহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
হলদিবাড়িতে মৃত্যু জোড়া গরুর
অন্যদিকে হলদিবাড়ি এলাকায় কাশিয়াবাড়ি রেলগুমটিতে টুনুরাম রায়ের বাড়িতে সকালের দিকে আচমকা বাজ পড়ে। গোয়াল ঘরে বাজ পড়ে সঙ্গে সঙ্গে দুটি গরু বজ্রাহত হয়ে মারা যায়। গোয়ালের পাশাপাশি লাগোয়া একটি কাঁচাঘর সেটি সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। পাশের একটি বাড়িও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই বাড়ির মালিক আচ্ছাদন রায়ের আওয়াজে কানে তালা লেগে যাওয়ায়, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বজ্রপাতের পরে ওই এলাকায় বিদ্যুতের তারে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয় এবং দিনভর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন চলে এলাকা।