Toy Train New Track: কু-ঝিকঝিক অলস টয়ট্রেন (Toy Train)। এমন কথা ভবিষ্যতে আর নাও বলা যেতে পারে। সৌজন্যে খোদ রেল। কারণ আগামী মরশুম থেকে ট্রেনের লাইন একাধিক জায়গায় বদল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে টয়ট্রেনের গতি কিছুটা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। টয়ট্রেন আর এমন শম্বুকগতি নাও হতে পারে। কিছুটা দ্রুত চলতে পারে এই ট্রেন। এমনই পরিকল্পনা করছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল (NF Rail) এবং দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (DHR)।
যাত্রাপথের গতি বাড়াতে রেল লাইনের ট্রাকে কিছু বদলতে চাইছে রেল। শনিবারই তিনধারিয়া (Tindharia) থেকে কার্শিয়াং (Kurseong) পর্যন্ত কাটিহারের ডিআরএম এসকে চৌধুরী (DRM Katihar SK Choudhary) সহ রেলকর্তারা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন করে বেশ কিছু জায়গায় রেললাইনে খামতি এবং তা পুরনো হয়ে গিয়েছে বলে ফিল করেন তাঁরা। এর পরেই এই রেলের ট্র্যাক পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অত্যাধুনিক রেলট্র্যাক (railway Track) লাগিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত এর বেশি কিছু জানা যায়নি।
তবে তিনধারিয়া ওয়ার্কশপে দ্রুত ডিজেল লোকো চালু ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ডিএইচআর-এর ডিরেক্টর অরবিন্দ মিশ্রা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। ওয়ার্কশপে প্রত্যেকটি সেকশনে ঘুরে দেখেন ডিআরএম। ট্রলি করে ডিআরএম ওয়ার্কশপের প্রত্যেকটি স্টেশনে যান। এর আগে তিনধারিয়া থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত রেল ট্র্যাক পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
আপাতত পর্যটনের ভরা মরশুম চলছে। ফলে এখনই এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। তবে মরশুম শেষ হলে শীতের মধ্যে যখন অফ সিজন চলবে সেই সময় শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার টয়ট্রেনের যাতায়াতে কিছুদিন বিরতি দিয়ে এই রেল ট্র্যাক পরিবর্তন এর কাজ শুরু হবে। রেল সূত্রের খবর যে তিনধারিয়া এবং কার্শিয়াংয়ের মধ্যে প্রায় ১৮ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গায় রেল ট্র্যাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনধারিয়া ওয়ার্কশপের ডিজেল লোকোশেড চালুর ব্যাপারে কিছুদিন আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়টি নিয়েও এদিন ইঞ্জিনিয়ার এবং আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিআরএম। রেলবোর্ড অনুমতি দিলে টয় ট্রেনের ডিজেল ইঞ্জিন তৈরির পাশাপাশি মেরামতির কাজও শুরু হয়ে যাবে।
চলতি মরশুমে এবং এর আগেও বারবার বর্ষা সহ বিভিন্ন মরশুমে ধস নেমে টয় ট্রেনের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বারবার বাধা পড়েছে যাত্রাপথে। ফলে বিভিন্ন সময়ে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে রেলকে। পাশাপাশি বর্তমানে ট্র্যাকগুলিও পুরনো হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে বেশকিছু ট্র্যাক পরিবর্তন করে ট্রেন চলাচলে গতি আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে টয়ট্রেনের গতি বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।