যে মেদিনীপুরে ৭ ডিসেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভায় শক্তি প্রদর্শন করেছিলেন, সেই মেদিনীপুরেই বাংলা জয়ের হুংকার দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ১৯ ডিসেম্বরের সভায় অমিত শাহ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করেছেন।
বলেন, 'এই ভূমিতেই জন্ম হয়েছিল ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের। এই ভূমিতেই জন্ম হয়েছিল শহিদ খুদিরাম বসুর। খুদিরাম বসু আজও দেশের যুব সম্প্রদায়ের প্রেরণা।'
খুদিরামের বসতবাটিতে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। খুদিরামের মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। মেদিনীপুরকে কেন বেছে নিলেন শাহ, তা জানার আগে, একবার দেখে নেওয়া যাক হাতে গীতা নিয়ে ফাঁসিকাঠে প্রাণ বলিদান দেওয়া সেই খুদিরাম বসু সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে যোগ দেন খুদিরাম। ইংরেজদের তাড়িয়ে দেশ স্বাধীন করার অঙ্গীকার নিয়ে স্কুল ছেড়ে যোগ দেন রেভোলিউশনারি পার্টিতে।
১৯০৭ সালের ৬ ডিসেম্বর বোমা বাজিতে ধরা পড়েন খুদিরাম। ইংরেজরা তাঁকে ফাঁসির সাজা শোনান। তখন খুদিরামের বয়স মাত্র ১৩।
১৯০৮ সালের ১১ অগাস্ট মাত্র ১৮ বছর বয়সে ফাঁসি দেওয়া হয় খুদিরামকে। হাত গীতা নিয়ে বন্দে মাতরম জয়োধ্বনি দিতে দিতে দেশের জন্য প্রাণ দেন খুদিরাম।