কৃষি বিলের প্রতিবাদে (Farmer Bill 2020) এবং কৃষক আন্দোলনের (Farmer Protest) সমর্থনে এবার এই রাজ্যেও বিক্ষোভ। শুক্রবার গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি বার্নপুরের ব্যানারে আসানসোলের (Asansol) ভগত সিং মোড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন একদল মানুষ। প্ল্যাকার্ড হাতে কৃষি কালো আইন স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তাঁরা। এদিন বার্নপুর গুরুদ্বার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র সিং বলেন, "ভারত সরকার কৃষি বিলের নামে যে আইন এনেছে তার প্রতিবাদ জানিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছি।" সরকারের কাছে আবেদন, "যে কৃষি বিল নিয়ে আসা হয়েছে, তা পুনর্বিবেচনা করে নতুন বিল আনা হোক।" পাশাপাশি আগামী সোমবার এই মর্মে জেলাশাসকের দফতরে ডেপুটেশন দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গত ২৬ তারিখ থেকে দিল্লি সীমান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পঞ্জাব হরিয়ানার কৃষকরা। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক হয় কৃষকদের। তবে তাতে অধরা সমাধান সূত্র। কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে, এই দাবিতে অনড় কৃষকরা। এদিকে ইতিমধ্য়েই কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযানের সমর্থনে ট্যুইটের পাশাপাশি কৃষক নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন মমতা। সূত্রের খবর ফোনে মোট বার চারেক কৃষক নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, কৃষকদের দাবি ন্যায় সঙ্গত। পালটা এরাজ্যে যাতে বিজেপিকে ঢুকতে না দেওয়া হয়, মমতার কাছে সেই আর্জি জানিয়ছেন কৃষকরা। এদিকে ইতিমধ্যেই এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলগুলিকে একজোট করার চেষ্টা শুরু করেছে শিরোমণি অকালি দল। শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রবিবার উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করার কথাও রয়েছে শিরোমণি অকালি দলের প্রতিনিধিদের।
অন্যদিকে কৃষক আন্দোলকে সমর্থন জানাচ্ছেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষজন। আন্দোলনের সমর্থনে এবং কেন্দ্রের বিরোধিতায় সরকারি সম্মান ফেরাতেও শুরু করেছেন অনেকে। বৃহস্পতিবারই পদ্মবিভূষণ ফিরিয়ে দিয়েছেন প্রকাশ সিং বাদল। শুক্রবার পঞ্জাবি সাহাত্যে সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার ফেরালেন কবি মোহনজিত। এছাড়াও সরকরি সম্মান ফেরানোর কথা ঘোষণা করেছেন পঞ্জাবি লেখক জসবিন্দর সিং এবং পঞ্জাবি নাট্যকার তথা পঞ্জাব ট্রিবিউশানের সম্পাদক স্বরাজবীর সিং।