Advertisement

ভাটপাড়ায় তৃণমূল যুব সভাপতিকে ব্যাপক মারধর, পিছনে কে ?

টিকাকরণের কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত তৃণমূলের যুব সভাপতি। তাঁর অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতীকে তৃণমূলে ফিরতে বাধা দেওয়ায় তারা আক্রমণ করেছেন বলে অভিযোগ। আপাতত জখম তৃণমূল নেতা হাসপাতালে ভর্তি।

ভাটপাড়া থানা
দীপক দেবনাথ
  • ভাটপাড়া,
  • 31 Jul 2021,
  • अपडेटेड 1:30 PM IST
  • তৃণমূল যুব সভাপতিকে মারধর, জখম
  • হাসপাতালে ভর্তি জখম নেতা
  • বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে অভিযোগের তির

তৃণমূল যুব সভাপতিকে মারধর

ভাটপাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল যুব সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল। আক্রান্ত যুব সভাপতির নাম দেবাঞ্জন বিশ্বাস। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

রাতে বাড়ি ফেরার পথে আক্রমণ

শনিবার রাতে ভাটপাড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড অফিস থেকে করোনা টিকাকরণের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পথে ভাটপাড়ার কাছে একদল দুষ্কৃতী তাঁর ওপর চড়াও হয়। অভিযুক্ত দেবাঞ্জন বিশ্বাসের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাকে ধরে ফেলে বেধড়ক মারতে থাকে। ওই দুষ্কৃতীদের একজন ছাড়া কাউকেই আগে থেকে তাঁর চেনা ছিল না।

এলাকাবাসী উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান

তাঁর মাথায়, ঘাড়ে, হাতে ও নাকে আঘাত লাগে। সেই সঙ্গে গলার থাকা সোনার চেন ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা বলে তিনি অভিযোগ করেন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান। ইতিমধ্যেই ভাটপাড়া থানায় বিস্তারিত ঘটনা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন দেবাঞ্জনবাবু।

টিকাকরণের কাজ সেরে ফেরার পথে বিপত্তি

তাঁর অভিযোগ, এক মহিলাকে নিয়ে গিয়েছিলাম। ভ্য়াকসিনের স্লিপ নেওয়ার জন্য। ফেরার পথে আকাশ মাহাতো সহ আরও কয়েকজন দাঁড়িয়েছিল। তাঁরা আমাকে ধরে ফেলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। মারধর শুরু করে। রাস্তায় ফেলে মারে। আমার গলায় একটা সোনার চেন ছিল, সেটাও কেড়ে নেয়। আমার চশমা ভেঙে দেয়। আমি তাঁদের অনুরোধ করি, আমাকে মারধর করো না। আমি একটা কাজে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কোনও কথা শোনেনি। মার ধর বন্ধও করেনি।

ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে মারধর !

Advertisement

পরে লোকজন চলে আসায় তারা দেবাঞ্জনবাবুকে ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তাঁর অভিযোগ আকাশ সহ বেশ কিছু লোকজন এখানে একটা অপরাধের পরিবেশ তৈরি করেছে। যেখানে সুষ্ঠু রাজনীতি করার পরিবেশ নেই। মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে আমাদের রাত বিরেতে বিভিন্ন সময়ে বাইরে বেরোতে হয়। তাতে যদি এভাবে দুষ্কৃতী হামলার শিকার হতে হয়, বা কারও কোনও ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে রাতবিরেতে যদি হামলা করে, তাহলে তা খুব দুঃখজনক এবং ভয়াবহ। পুলিশের উচিত দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতার করে এলাকায় সুস্থিতি ফিরিয়ে আনা।

বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসতে বাধা

দেবাঞ্জনবাবুর অভিযোগ, সম্ভবত বিজেপির প্ররোচনাতেই আকাশ এ কাজ করে থাকতে পারে। তাঁর অভিমত, সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনের পর আকাশ এবং কয়েকজন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ঢোকার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতে দেবাঞ্জনবাবু সহ বেশ কিছু তৃণমূল নেতাকর্মীরা রাজি হচ্ছে না। এই আক্রোশ থেকে তাঁকে মারধর করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement