ক্লাবের দাবি অনুযায়ী মদের বোতল দেননি ব্যবসায়ী
"আমাদের পাড়ার ক্লাব, তাই দামী মদের বোতল উপহারে দিতে হবে দাদা। এটাই নিয়ম।" এমন আবদার জুড়ে দিয়েছিলেন কয়েকজন। একে মদের দাম চড়চড় করে বেড়েছে, তায় বিধি নিষেধে বিক্রি কম। এমন অন্যায় আবদার মেনে নিতে নারাজ দোকানদার।
বিনা পয়সায় মদ না পেয়ে বেধড়ক মার
ফলে অবশ্যম্ভাবীভাবে 'মাসল পাওয়ার'-এর সামনে অসহায় ব্যবসায়ী পড়ে পড়ে মার খেলেন। সস্তা বাংলা-হিন্দি সিনেমার প্লটে এমন দৃশ্য় অনেক দেখা গিয়েছে। খানিকটা ফিল্মি চিত্রনাট্যের মতোই একদল দুষ্কৃতী ওই ব্যবসায়ীকে রাস্তায় ফেলে বেধরক মারধর করে। তারা স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্য বলেই অভিযোগ।
বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবারও
ক্লাবের সামনেই ওই ব্যবসায়ী মিলন সরকারকে দামী মদের বোতল না পেয়ে ক্লাবের সদস্যরা মারধর করছে খবর পেয়ে ছুটে আসেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। ব্যবসায়ীর বাড়িও কাছেই। পরিবারের সদস্যরা বাঁচাতে এলে তাঁদেরও বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ।
থানায় অভিযোগ করেও সুরাহা হয়নি
এরপরই তারকেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী। তারপরও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীর। থানা থেকে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। সাধারণ জলের মতো পরিষ্কার ঘটনায়, তদন্তের কি আছে তা বুঝে উঠতে পারছেন না ওই ব্যবসায়ী ও তার পরিবার।
পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার পিছনে কারণ কী
প্রকাশ্য মারধরের ঘটনা দেখেছে অনেকেই। তাহলে পুলিশ কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই প্রমাণ মেলে। তারপরও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার পিছনে রাজনৈতিক যোগ দেখছেন অনেকে। আবার স্থানীয়দের কারও কারও অভিযোগ থানাতেও মদের বোতল দিতে চান না ওই ব্যবসায়ী। তাই পুলিশের রাগ থাকতে পারে। তবে এভাবে চললে ব্যবসা করবেন কীভাবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা।
শাসকদলের মদতেই দুষ্কৃতীদের আখড়া উজ্জ্বল সংঘ
দুষ্কৃতীদের আখড়া হয়ে উঠেছে সরকার স্বীকৃত ওই ক্লাব। দিনে দুপুরে মদ্যপ অবস্থায় তোলাবাজি করার অভিযোগ ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে। দিনের পর দিন এই ঘটনা ঘটেই চলেছে তারকেশ্বরের পদ্মপুকুর এলাকায়। স্থানীয় এলাকায় অবস্থিত উজ্বল সংঘের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। বারবার অভিযোগ করা সত্বেও এই ক্লাবের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
দিনের পর এই ধরনের ঘটনার অতিষ্ট এলাকাবাসী এবং দুষ্কৃতীদের তান্ডবে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এলাকাবাসীর।
আপাতত গা ঢাকা ক্লাব সদস্যদের
ঘটনার পর থেকেই ক্লাবে তালা ঝোলানো আছে বলে দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয়দের আরও দাবি, দু-একদিন পর আবার খুলবে ক্লাব এবং আবারও শুরু হবে অত্যাচার। তবে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে না চাইলেও শাসক দলের প্রচ্ছন মদতেই ক্লাবটির এত বাড়বাড়ন্ত বলে দাবি স্থানীয়দের।