শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর
তিন বছর আগের ঘটনায় রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী তথা বর্তমানে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় অভিযোগ জানালেন শুভেন্দুর প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। তাঁর স্বামী ২০১৮ সালে ডিউটিরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
চিকিৎসায় ইচ্ছাকৃত গাফিলতি
শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বামীর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ আনেন সুপর্নাদেবী। তাঁর স্বামীকে সঠিক সময় চিকিৎসা করালে হয়তো তিনি মারা যেতেন না, এমনটাই দাবি তাঁর। এতদিন প্রভাব ছিল বলে সাহস পাননি। সুপর্নাদেবীর দাবি, এখন প্রভাব কমেছে। পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে। তাই সাহস করে থানায় অভিযোগ দায়ের করলাম।
অ্যাম্বুল্যান্স পেতে দেরি কেন?
শুভব্রতবাবুর স্ত্রী সুপর্নাদেবীর অভিযোগ, প্রথম থেকেই আমার স্বামীর মৃত্যুর বয়ান সম্বন্ধে আমার মনে সন্দেহ ছিল। আমি কখনওই এর উত্তর পেলাম না। চিকিৎসার জন্য আমার স্বামীকে কলকাতায় স্থানান্তর করতে দেরি হল কেন? শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করা সত্ত্বেও আমার স্বামী গুলিবিদ্ধ হলেন, তাছাড়াও শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তায় থাকা সত্ত্বেও অ্য়াম্বুল্যান্স পেতে দেরি হল কেন, সেটাও আমার কাছে পরিস্কার নয়।
শুভেন্দুকে ভয় পান
কিন্তু যেহেতু জেলায় এবং রাজ্য স্তরের শুভেন্দুবাবু একজন খুব শক্তিশালী ব্যক্তি, সবাই ওঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পান, তাই আমিও দুই বাচ্চা মেয়েকে নিয়ে একই কারণে আমি কাউকে কিছু বলে উঠতে বা সাহস করে উঠতে পারিনি। কিন্তু এখন পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটায় আমার মনে হচ্ছে আমি বিচার পেলেও পেতে পারি।
ময়নাতদন্ত বিকৃত করেছে শুভেন্দুর দুই সঙ্গী
তাঁর স্বামীর ময়নাতদন্ত নিয়েও সন্দেহ রয়েছে সুপর্নাদেবীর। সঠিকভাবে ময়না তদন্ত হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরা, এবং হিমাংশু মান্নার বিরুদ্ধেও পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তিনি। ওই দুজনই ময়না তদন্তের ক্ষেত্রে গরমিল করেছেন এমনটাই অভিযোগ সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তীর। এফআইআর-এ সুপর্ণা কাঞ্জিলাল জানিয়েছেন তিনি মানসিকভাবে প্রচন্ড বিপর্যস্ত, তাই তার স্বামীর মৃত্যুর রহস্য সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের আবেদন করেছেন প্রশাসনের কাছে।
২০১৮ সালের ঘটনা
২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর ঘটনাটি ঘটেছিল। তৎকালীন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলা হয়। গুলিবিদ্ধ হন তাঁর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী। পরে তিনি মারা যান।