পিছু ধাওয়া করে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করল এক যুবক। প্রকাশ্য়ে এমন ঘটনা দেখে প্রথমে আসপাশের লোকজন ভেবেছিলেন, বুঝি বা কোনও সিনেমার শুটিং। কিন্তু লাইট-ক্যামেরা না দেখে সম্বিত ফেরে জনতার। প্রকৃত ঘটনা বুঝতে পেরে শিউরে ওঠেন এলাকাবাসী। মুর্শিদাবাদের আয়েশবাগ থানা এলাকার ঘটনা। অভিযুক্ত পিন্টু সর্দার স্ত্রী রুম্পাকে খুন করে অবশ্য সেই ফিল্মি কায়দায় থানায় গিয়ে আত্মসমর্পন করেন।
বিবাদের জেরে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন রুম্পা
পুলিশ সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই নানা কারণে ঝামেলা-বিবাদ লেগেই থাকত পিন্টু ও রুম্পা সর্দারের মধ্যে। সেই ঝগড়া কখনও কখনও এতটাই চরমে উঠে যেত যে তিষ্ঠোতে পারতেন না প্রতিবেশীরাও। ৬ বছর আগে পিন্টুর সঙ্গে বিয়ে হয় রুম্পার তাঁর। তাঁদের একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তানও আছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে দম্পতির মধ্যে নানা কারণ নিয়ে অশান্তি লেগে ছিল। এমনকী দিন কয়েক আগে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাপের বাড়ি চলেও গিয়েছিলেন রুম্পা।
রুম্পাকে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েই খুন
তবে পরে বারবার রুম্পাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও ফিরতে চাননি স্ত্রী। একদিন রুম্পার বাপের বাড়িতে গিয়ে চড়াও হয় পিন্টু। সেখানেই গোল বাধে। পিন্টুর হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে যান রুম্পা। তাঁকে ধাওয়া করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে পিন্টু।
আরও পড়ুনঃ Bengal Waiting For Hilsa: শ্রাবণে ফিরবে এ রাজ্যের ইলিশ ভাগ্য, অপেক্ষায় মৎস্যপ্রেমীরা
থানায় অস্ত্র সহ আত্মসমর্পন পিন্টুর
খুন করেও অবশ্য কোনও বিকার দেখা যায়নি স্বামীর মধ্যে। খুনের পর নিজেই অস্ত্র সহ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সে। স্বীকার করেছে সেই খুন করেছে রুম্পাকে জানা গিয়েছে, রুম্পাকে বাঁচাতে গিয়েজখম হয়েছেন রুম্পার ভাই প্রসেনজিৎ মাল। তাঁর উপরও অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পিন্টু। তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ একটি খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে।