Advertisement

মাধ্যমিকে পাশ করেও ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ছাত্রীর, রহস্য দানা বাঁধছে

মাধ্যমিক দিতে হয়নি। এমনিই পাশ। তা সত্ত্বেও ফল বের হওয়ার তিন দিনের মধ্যে ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল হাওড়ায়। রাজাপুর এলাকায় দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে। সোস্যাল সাইটেই কি বিপত্তি ?

প্রতীকী ছবি
বৈদ্য়নাথ ঝা
  • হাওড়া,
  • 25 Jul 2021,
  • अपडेटेड 5:24 PM IST
  • ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হাওড়ার
  • মাধ্যমিকে ফল ভাল, তারপরও মৃত্যু !
  • পুলিশ তদন্ত করে দেখছে রহস্য কী ?

মাধ্যমিকে পাশ করেও লাশ

তিনদিন আগেই মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে। তাতে স্বাভাবিকভাবেই সরকারি ১০০ শতাংশ পাশের সিদ্ধান্তের সুফল পেয়েছিল ছাত্রীটি। একাদশে কি নিয়ে পড়াশোনা করবে, কীভাবে ভবিষ্যৎ সাজাবে তা নিয়ে জল্পনায় মেতে থাকার সময়, আর পাঁচজন মাধ্যমিক উত্তীর্ণের মতোই। কিন্তু সে সব কিছুর বাইরে অন্য রকম ফল বের হল হাওড়ার এক ছাত্রীর। রবিবার সকালে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল।

অপ্রত্যাশিত ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া

অপ্রত্যাশিত ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হঠাৎ জলজ্যান্ত প্রাণোচ্ছল কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসী। যেখানে বাড়িতে বাবা-মা কেউ নেই। তাঁদের কীভাবে খবর দেওয়া হবে তা বুঝতে পারছেন না কেউই। একা দিদি দিশাহারা হয়ে পড়েছে।

আত্মহত্যা না খুন

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম পারমিতা মন্ডল। বয়স ১৭ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার রাজাপুর এলাকায়। শনিবার সন্ধ্য়ায় ঘরে ঢুকে বোনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় দিদি। সিলিং থেকে ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে ঝুলছিল সে। ঘটনাটি আত্মহত্যা না খুন তা বুঝতে পারছে না কেউই।

ময়নাতদন্তে জোর পুলিশের

শনিবার সন্ধ‍্যায় তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে হয় পায় দিদি সুস্মিতা। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। তাঁরা বিষয়টি দেখতে পায়। তাঁরাই পুলিশে পুলিশে খবর দিলে, পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।

বাবা-মা চিকিৎসার জন্য বাইরে

সাত দিন আগে সুস্মিতা-পারমিতার বাবা-মা চিকিৎসার জন্য ভেলোরে যান। বাড়িতে ওই ছাত্রীর দিদি এবং সে দুজনই বাড়িতে ছিল। হঠাৎ কি এমন ঘটল, যার জন্য এমন ঘটনা কিছুতেই মাথায় আসছে না দিদির।

ইউটিউবে চ্যানেল ছিল ছাত্রীর

মৃত্যুর কারণ জানা না গেলেও, জানা গিয়েছে মৃত ছাত্রী ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে বিভিন্ন সময় নিজের কিছু ভিডিও আপলোড করত। তার কিছু ফলোয়ারও ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ তার মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে রাজাপুর থানার পুলিশ।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement