সুন্দরবনের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হানায় ফের জখম হলেন এক মৎসজীবী। আহত মৎসজীবীর নাম আশিস মন্ডল। তিনি গোসাবার বালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়নগরের বাসিন্দা। বাঘের সঙ্গে লড়াই করে সঙ্গীরা ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন তাঁকে।
সুন্দরবনের পীরখালির জঙ্গলে রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে। আহত মৎসজীবীকে উদ্ধার করে গোসাবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে চারজনের একটি দল মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। যখন এই ঘটনা ঘটে তখন পাশে আরও একটা নৌকায় ছজন মৎসজীবী ছিলেন। সকলে মিলে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। আট দিন আগে সকলে গিয়েছিলেন মাছ, কাঁকড়া ধরতে। আগামীকাল ফেরার কথা ছিল।
সুন্দরবনের বড়ে মিঞার হামলায় প্রতি বছর বেঘোরে বহু মৎস্যজীবীর প্রাণ যায়। মাছ ও কাঁকড়া ধরতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হয় অসহায় মানুষগুলিকে। গত ২ অক্টোবর এভাবেই বাঘের হানায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন এক মৎস্যজীবী। গোসাবার সাতজেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এর এমলিবাড়ি থেকে তিনজন মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। গৌড় মিস্ত্রি আর তাঁর আর দুই সঙ্গী। পীরখালি জঙ্গলের কাছে তাঁরা যখন মাছ ধরছিলেন তখন একটি বাঘ আচমকা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে গৌরের উপর আক্রমণ করে। গৌড়ের সঙ্গে থাকা দুই সঙ্গী বাঘের সাথে লড়াই করে উদ্ধার করে তাঁকে। এর দু'দিন পরেই ফের সুন্দরবনে বাঘের হামলার ঘটনা ঘটে।
মরিচঝাঁপি জঙ্গল লাগোয়া বড় চিলমারি খালে কাঁকড়া ধরার সময় বাঘের কবলে পড়েন সেলিম মোল্লা(৩১) নামে এক মৎস্যজীবী। নৌকায় বসে কাঁকড়া ধরার সময় তাঁর ঘাড়ে লাফিয়ে পড়ে বাঘ। সেলিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা সম্ভব হয়নি। মাঝ পথেই মৃত্যু হয় ওই মৎস্যজীবীর।