করোনা পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজো উপলক্ষে ক্লাবগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদানের ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। আর এই সিদ্ধান্তের প্রক্ষিতে এবার হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে দায়ের হওয়া এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সরকারকে। মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার।
আদালতের প্রশ্ন
এদিন হাইকোর্টে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চ মামলার শুনানি হয়। শুনানি চলাকালীন বিচারপতিরা জানতে চান, রাজ্য সরকার কি শুধু দুর্গাপুজোতেই অনুদান দেয়? নাকি অন্য উতসবেও টাকা দেওয়া হয়? ইদেও কি টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার? গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এমন ভেদাভেদ কেন? আদালত সূত্রে খবর, বিচারপতিদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, মাস্ক এবং স্যানিটাইজার কেনার জন্য দেওয়া হচ্ছে টাকা। তার প্রেক্ষিতে আদালতের বক্তব্য, মাস্ক এবং স্যানিটাইজার তো কেন্দ্রীয়ভাবে সরকার নিজেই কিনে দিতে পারত। সেক্ষেত্রে খরচও কম হতো।
ভিড় নিয়ন্ত্রণে কী পরিকল্পনা?
করোনা পরিস্থিতিতে বারোয়ারি পুজো বন্ধের জন্য ইতিমধ্য়েই জনস্বার্থ মামলায় দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। পাশাপাশি পুজোয় লাগাম টানার আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে চিকিতসকদের যৌথমঞ্চও। কারণ চিকিতসকদের আশঙ্কা কোনও কারণে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে, পুজোর পর সংক্রমণ এক ভয়াবহ আকার নেবে। এমনকি হাসপাতালে বেড কম পরতে পারে বলেও আশঙ্কা তাঁদের। এক্ষেত্রে ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকার কোনও পরিকল্পনা করেছে কি না এদিন তাও জানতে চায় হাইকোর্ট। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন পুজো হবে, আবার করোনাকেও ঠেকাতে হবে। এর জন্য পুজো মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে মমতা। মাস্ক ছাড়া মণ্ডপে ঢোকাতেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। একইসঙ্গে ক্লাবগুলিকেও সতর্কতামূলক প্রচার চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া পুজোর সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে তার মোকাবিলায় সরকারি হাসপাতালে আগাম কোভিড বেড বাড়ানোর ঘোষণাও করেছে রাজ্য। এখন দেখার এই বিষয়ে কী নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইোকোর্ট।