পরপর দুটি কন্যা সন্তান হয়েছে। স্ত্রীকেই এর জন্য দোষী সাব্যস্ত করে স্বামী। শুধু এতেই ক্ষান্ত হননি তিনি। স্ত্রীকে যেভাবে যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে অত্যাচার করেছেন, তাতে কয়েক বছর আগের দিল্লীর নির্ভয়া কাণ্ডের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে সবার। নৃশংসতায় শিউরে উঠেছে এলাকা।
অত্যাচার সব মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনার বাঘনাপাড়ার বিজারা এলাকার ঘটনা। স্থানীয় শরিফা বিবির দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তারপর থেকেই তার উপর অত্যাচার শুরু হয় স্বামীর। মাঝে মধ্যেই তাঁকে মারধর-অত্যাচার করা হতো বলে অভিযোগ। এদিনের অত্যাচার সব মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে, শিরীষ কাগজ দিয়ে ঘষা হয়
শরিফার যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে পাশবিক অত্যাচার চালায় স্বামী তৌফিক শেখ বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় শনিবার থেকে কালনা হসপিটালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়। আপাতত চিকিৎসাধীন রয়েছেন আক্রান্ত ওই গৃহবধূ।
দুবার মেয়ে হওয়াতেই অত্যাচার
কালনার নিভুজি কোম্পানি ডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা শরিফা বিবির বিয়ে হয় ২০১৬ সালে কালনার বাঘনাপাড়া বিজারা এলাকার তৌফিক শেখ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। বিয়ের পর পরই দুটি কন্যাসন্তান হওয়ার পরই গৃহবধূর ওপর শুরু হয় পাশবিক অত্যাচার। কখনও যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে, কখনও যৌনাঙ্গের পাশে শিরীষ কাগজ দিয়ে ঘষে স্বামী বলে অভিযোগ। এবং গৃহবধূর বুকেও আঘাত করে লাগাতার বলে অভিযোগ। বেশ কয়েক মাস ধরেই পাশবিক অত্যাচার চালাচ্ছিল তার স্বামী।
বাপের বাড়ির লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে
এমনকী স্বামী তাকে ডিভোর্স দিয়ে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেবে, এমনও জানিয়েছিল তার স্ত্রীকে। তাঁর স্বামী তৌফিক শেখ হুমকিও দেয় তাকে। এরপর ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করে শনিবার কালনা মহকুমা হসপিটালে ভর্তি করে। তারপর থেকেই কালনা হসপিটালে চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূ নির্যাতিত ওই গৃহবধূর বাবা ভুলু শেখ তিনি জানান, মেয়ের ওপর পাশবিক অত্যাচারের কথা শুনে আমরা তার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করি. পুরো ঘটনা কালনা থানায় লিখিত অভিযোগ আকারে জানাব জানান নির্যাতিতার বাবা ও নির্যাতিতা উভয়ই।