বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে জেলার নেতা মন্ত্রীদের বিরোধ ইতিমধ্যেই বিড়ম্বনায় ফেলেছে দলকে। এবার অনুব্রতর এই ধরনের আচরণের জন্য নাম না করে তাঁকে ক্যান্সারের সঙ্গে তুলনা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা জমিয়তে উলেমা হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। বীরভূমের সদাইপুরে চাতরা মসজিদ প্রাঙ্গনে জমিয়তের সভায় যোগ দিতে গিয়ে সিদ্দিকুল্লা বলেন, বীরভূমের এক ব্যক্তি মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম ও আউশগ্রামকে নাস্তানাবুদ করে দিয়েছেন। এটা ক্যানসার। যথক্ষণ বীরভূমে এই নেতৃত্ব থাকবেন, রোগ থাকবে। একটা পচা আলু এক বস্তা ভাল আলুকে নষ্ট করে দেয়।
মমতা-অভিষেকের কাছে আবেদন
শুধু তাই নয়, যেভাবে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি বিভানসভা ভোটের জন্য একের পর এক প্রার্থী ঠিক করে নাম ঘোষণা করছেন তার প্রতিবাদও জানিয়েছেন সিদ্দিকুল্লা। মঙ্গলকোটের বিধায়ক হিসেবে সিদ্দিকুল্লা বলেন, একজন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিচ্ছেন, দলনেত্রীর কাজ তিনিই করে দিচ্ছেন। সিদ্দিকুল্লার প্রশ্ন, একজনকে এত ছাড় দেওয়া হচ্ছে কেন? এরপরেই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই ধরনের ঘটনায় বিচারের আবেদন জানান তিনি। যদিও সিদ্দিকুল্লার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অনুব্রত বলেন, কে কী বলল, তাতে কিছু এসে যায় না।
জেলায় জেলায় ঘরোয়া বিবাদ
শুধু বীরভূম নয়, সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন জেলা থেকে উঠে আসছে তৃণমূলের ঘরোয়া বিবাদের খবর। দলের
অভ্যন্তরীণ বিবাদের একের পর এক ঘটনা সামনে এসেছে হুগলি ও কোচবিহারের মত জেলা থেকেও। যদিও
শনিবার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন হুগলিতে দলের অভ্যন্তরে যা সমস্যা ছিল তা আলোচনার
মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিধানসভা ভোটের আগে প্রকাশ্যে এই ধরণের ঘরোয়া কোন্দল তৃণমূলের
ভাবমূর্তির পক্ষে ভাল হচ্ছে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এখন দেখার দলের অভ্যন্তরীণ বিবাদ
কীভাবে সামাল দেয় তৃণমূল।