"মিমকে (MIM) একটাও ভোট নয়। মিমকে ভোট দেওয়া মানেই সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির হাত শক্ত করা। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থীকেই জয়ী করতে হবে।" মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমটাই বললেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি আবু তাহের খান। পাশাপাশি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন," গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস পার্থীকে জয়ী করেছিলেন। করোনা,আমফানের মত বিপর্যয়েও এলাকায় বিধায়কের দেখা মেলেনি। আমরা মানুষের পাশে থেকেছি, আগামিদিনেও থাকবো। তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে হবে ভরতপুরের মানুষকে।"
বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে সবপক্ষ। স্বভাবতই পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। সেই লক্ষ্যেই শনিবার স্থানীয় থানার সামনে ভরতপুর বিধানসভা এলাকার কর্মীদের নিয়ে একটি সভার আয়োজন করা তৃণমূলের পক্ষ থেকে। সভায় জেলা তৃণমূলের সভাপতি আবু তাহের খান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার কো-অর্ডিনেটর আজাহার উদ্দিন সিজার, শাশ্বত মুখোপাধ্যায় সহ বিশিষ্ঠ নেতৃত্ব। ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন প্রায় হাজার পাঁচেক কর্মী। সভায় কর্মীদের রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলি এলাকার মানুষের কাছে তুলে ধরা, জনসংযোগ বাড়ানো এবং আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন দলের নেতারা।
সম্প্রতি বিহারে ৫টি আসনে জয়ের পর পশ্চিমবঙ্গে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম)-এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi)। জানা যাচ্ছে, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজুপর ও দুই ২৪ পরগনা সহ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জায়গাগুলিতে প্রায় ৪০ জন প্রার্থী দিতে পারে মিম। তার মধ্যে শুধু দুই ২৪ পরগনাতেই থাকতে পারেন ১০ থেকে ১২ জন প্রার্থী। রাজনৈতিক মহল মনে করছে বিহারে মিম সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে ভাগ বসানোয় আখেরে লাভ হয়েছে বিজেপিরই। আর এরাজ্যেও যেহেতু সংখ্যালঘুদের একটা বড় অংশের সমর্থন তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে, তাই এখানে মিম প্রার্থী দিলে সেই ভোটে ভাগ হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে তৃণমূলেরই। তাই সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক যাতে অটুট থাকে সেই জন্য আগেভাগেই তৃণমূল ময়দানে নেমে পড়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।