সমতলে কালবৈশাখী, পাহাড়ে তুষারপাত, বসন্তের শেষবেলায় প্রকৃতি ঝুলি উপুড় করে দিল উত্তরবঙ্গকে। এমনিতে এই সময় খুব বেশি পর্যটক নেই। তবে যাঁরা আছেন, তাঁরা দুহাতে আঁকড়ে ধরলেন এই অভিজ্ঞতা।
মরশুমের শেষ বেলায় ফের তুষারপাত সান্দাকফুতে। রবিবার সকাল থেকেই সান্দাকফুতে শুরু হয়েছে তুষারপাত। বিকেল পর্যন্ত তা চলেছে। সম্ভবত সোমবারও চলতে পারে।
বরফের সাদা চাদরে ঢেকে গিয়েছে দার্জিলিংয়ের বিখ্যাত সিঙ্গালিলাল জাতীয় উদ্যান। তুষারপাতে স্থানীয় জনজীবন ব্যাহত হলেও দারুণ খুশি পর্যটকরা।
এদিকে পাহাড় লাগোয়া সমতলে ঝড় বৃষ্টি হয়েছে বহু জায়গায়। তারপর থেকেই হুহু করে নেমেছে তাপমাত্রা। তবে তাপমাত্রার চেয়েও বেশি ঝড়ো ও জলো হাওয়ায় ঠান্ডা পড়েছে কয়েকগুণ।
আবহাওয়ার দফতরের ধারণা মরশুমের এটিই শেষ তুষারপাত। এই কালবৈশাখী কেটে গেলে এবারের মতো আর তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা কম। এরপরই ধীরে ধীরে গরম পড়তে শুরু করবে উত্তরবঙ্গে।
গোটা শীতকাল তুষারপাতের জন্য হা-পিত্যেশ করে বসেছিলেন পর্যটকরা। পর্যটনের ভরা মরশুমে আশা জাগিয়েও তুষারপত হয়নি। অবশেষে সেই তুষারপাত হল মার্চের শেষের দিকে। বাংলায় চৈত্র মাসে।
এর আগে সিকিমের উত্তর অংশে তুষারপাত শুরু হয় তিন-চারদিন আগে থেকে। এবার এ রাজ্য়েও দার্জিলিংয়ের সান্দাকফুতে ব্যাপক তুষারপাত শুরু হয়েছে।
শনিবার রাত থেকেই শহর শিলিগুড়ি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তার মধ্যেই মেঘের চোখ রাঙানো৷ বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। শিলিগুড়ি ও লাগোয় এলাকায় ঠান্ডায় জবুথবু সাধারণ মানুষ।