Advertisement

Siliguri Minor Rape And Murder Case: নাবালিকাকে ধর্ষণ করে মাথা থেঁতলে খুন, ফাঁসির সাজা দিল শিলিগুড়ির আদালত

Siliguri Minor Rape And Murder Case: আব্বাসের বিরুদ্ধে ওঠা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হয় ৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবারই। সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘটনার ১ বছর ১৪ দিনের মাথায় মামলার নিষ্পত্তি হল।

নাবালিকাকে ধর্ষণ করে মাথা থেঁতলে খুন, ফাঁসির সাজা দিল শিলিগুড়ির আদালত
Aajtak Bangla
  • শিলিগুড়ি,
  • 07 Sep 2024,
  • अपडेटेड 9:22 PM IST

Siliguri Minor Rape And Murder Case: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচার চলছে। গোটা দেশ উত্তাল, রাজ্যে প্রতিদিন আন্দোলন চলছে ন্যায়বিচারের দাবিতে। তারই মধ্যে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল শিলিগুড়ি আদালত। শনিবার শিলিগুড়ি আদালতের অতিরিক্ত নগর দায়রা আদালতের বিচারক অনিতা মেহেত্রা মাথুর এই সাজা ঘোষণা করেছেন। ঘটনার এক বছরের মধ্যে সাজা ঘোষণা করল আদালত।

আদালত সূত্রের খবর, শুক্রবার সাজা শোনানোর কথা ছিল। সরকারি পক্ষের আইনজীবী উদাহরণ হিসাবে বিভিন্ন ঘটনার নজির তুলে ধরে অপরাধীর ফাঁসির পক্ষে সওয়াল করেন। অন্যদিকে, অপরাধীর আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলের বাড়িতে বৃদ্ধা মা রয়েছেন। তাঁর পরিবারের কথা ভেবে ফাঁসি রদের আবেদন জানান।

আব্বাসের বিরুদ্ধে ওঠা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হয় ৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবারই। সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘটনার ১ বছর ১৪ দিনের মাথায় মামলার নিষ্পত্তি হল। তিনি জানান, এটা অন্যান্য মামলার তুলনায় ভিন্ন। এই মামলায় দোষীর ফাঁসি হওয়া উচিত বলে মনে করেছিলেন, এমনই আর্জি জানান আদালতে। খুন এবং নাবালিকাকে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্থ হয় অভিযুক্ত। পক্সো আইনেও মামলা হয়েছিল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

সাজা ঘোষণার পরে নির্যাতিতার মা জানান,  মেয়ে ফিরবে না, কিন্তু মেয়ে এই রায়ে শান্তি পাবে। মেয়ের মা জানান, অভিযুক্তের দু’জন স্ত্রী এবং সন্তান থাকা সত্ত্বেও এমন কাজ করার আগে ভাবা উচিত ছিল। ফাঁসিই তার সঠিক সাজা বলে মন্তব্য তাঁর।

২০২৩ সালের ২১ অগাস্ট মাটিগাড়ায় জঙ্গলের ভিতর একটি পরিত্যক্ত ঘরে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছিল মহম্মদ আব্বাস নামে এক ব্যক্তি। এমনকী নির্যাতিতাকে যাতে চেনা না যায়, সে জন্য ইট দিয়ে থেঁতলেও দেওয়া হয়েছিল তাঁর মুখ। অবশেষে সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে আব্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত।

Advertisement

সদ্যই বিধানসভায় পাশ হয়েছে ধর্ষণবিরোধী বিল। নয়া ‘অপরাজিতা’ বিলে ধর্ষণ-হত্যায় সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।  বিলটি আইনে পরিণত করতে  প্রয়োজন রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর। রাজভবন থেকে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। আইনে পরিণত হলে ধর্ষণ-খুনের সর্বোচ্চ সাজা হবে ফাঁসি। তবে তার আগে  মাটিগাড়ার ঘটনায় নিম্ন আদালত সেই সাজা ঘোষণা করল। 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement