Junior Doctor Hunger Strike Fell Sick: ১০ দফা দাবিতে কলকাতার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও জুনিয়র চিকিৎসকদের আমরণ অনশন আন্দোলন অব্যাহত। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের দুই অনশনকারীর সৌভিক ব্যানার্জী এবং আলোক ভার্মার সঙ্গে এবারে আন্দোলনে যোগ দিলেন জুনিয়র চিকিৎসক সন্দীপ মন্ডল।
অনশনে যোগ দিয়ে সন্দীপ জানান, এতদিন পার হওয়ার পরেও সরকারের এই বিষয়ে কোন ভ্রক্ষেপ নেই। ন্যায়বিচার আমাদের ন্যায্য অধিকার। সরকার যদি তা না দিতে পারে তাহলে কিছু বলার নেই। আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যেতেই আজ থেকে অনশনে যোগ দিয়েছি বলে জানান তিনি। তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের নাক-কান-গলা বিভাগের পিজিটির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সোমবার সকাল থেকে সন্দীপ অনশনে বসায় এই মুহূর্তে কলকাতা ও শিলিগুড়ি মিলিয়ে অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হল আট জন।
প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর থেকে টানা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা।বিভিন্ন সময়ে প্রতীকী আন্দোলনে সামিল হয়েছেন অন্যান্য চিকিৎসকেরা।এদিকে আজ থেকে অনশনে বসলেন জুনিয়র চিকিৎসক সন্দীপ মন্ডল। তার পাশাপশি প্রতীকী অনশনে বসেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে শুরু করে সিনিয়র ডাক্তারেরা।
১০ দফা দাবি নিয়ে গত শনিবার, ৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টা থেকে কলকাতার ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। তার পরদিন অনশনমঞ্চে যোগ দিয়েছিলেন আরজি করের জুনিয়ার ডাক্তার অনিকেত মাহাতো। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে ভর্তি করানো হয় আরজি করেই। এখনও চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। সোমবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল আরও এক অনশনকারী শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সোমবার সকাল থেকে তাঁর রক্তচাপ ওঠানামা করছিল। শারীরিকভাবে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান চিকিৎসকেরা।
প্রথমে ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় ছ’জন অনশনে বসেছিলেন। তবে সেই তালিকায় আরজি করের কেউ ছিলেন না। পরের দিন, ৬ অক্টোবর আরজি করের অনিকেত মাহাতো যোগ দিয়েছিলেন ধর্মতলার অনশনমঞ্চে। ওই দিন থেকেই শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গের দু’জন অনশনে বসেছিলেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের মনোরোগ বিভাগের পিজিটি প্রথম বর্ষের পড়ুয়া অলোক বর্মা এবং উত্তরবঙ্গ ডেন্টালের ইন্টার্ন সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ১২ অক্টোবর অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন অলোক। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এখনও হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।