Wife Missing From Rajdhani Express:দার্জিলিং যাচ্ছিলেন হানিমুনে। রাজধানী এক্সপ্রেসে চেপে এনজেপি নেমে দার্জিলিং যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিশনগঞ্জের আগে টয়লেটে গিয়ে উধাও হয়ে গেলেন স্ত্রী। এমনই অভিযোগ করেছেন বধূর স্বামী। এমনকী বিহারের কিশনগঞ্জ স্টেশনে নেমে জিআরপিতে অভিযোগও দায়ের করেছেন। এখন বিষয়টি সামনে আসতেই রহস্য় দানা বেধেছে। বধূর সঙ্গে থাকা মোবাইলও সুইচ অফ হয়ে গিয়েছে। যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, তখন ট্রেন কোনও স্টেশনে দাঁড়ায়নি। চলন্ত ট্রেন থেকে কীভাবে কেউ উধাও হতে পারে, তা ভেবে পাচ্ছে না পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়েছে।
চলন্ত রাজধানী এক্সপ্রেসের কামরা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেল এক নববধূ। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার কিশনগঞ্জ রেলস্টেশনের কাছে। নিখোঁজ বধূর স্বামী কিশনগঞ্জ রেল পুলিশে মিসিং ডায়েরি করেছেন। এই ঘটনার পর প্রায় তিনদিন পেড়িয়ে গেলেও হদিশ মেলেনি বধূর। বিয়ের পর তাঁরা রাজধানীতে চেপে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে দার্জিলিং ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ বধূর নাম কাজল কুমারী। তিনি তার স্বামী প্রিন্স কুমারের সঙ্গে ঘুরতে যাচ্ছিলেন দার্জিলিংয়ে। তাদের বিয়ে হয়েছে ৬ মাস আগে। তারা বিহারের মুজঃফরপুরের বাসিন্দা। প্রিন্স জানিয়েছেন, গত ২৭ জুলাই তারা মুজফফরপুর থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসের বি-৪ কোচে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। শুক্রবার সকালে ট্রেন কিশনগঞ্জ স্টেশনে ঢোকার আগে টয়লেটে যান কাজল। তারপর থেকেই আর খোঁজ নেই তাঁর। বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলেও স্ত্রী না ফেরায় কোচে খোঁজাখুজি শুরু করেন তাঁর স্বামী প্রিন্স। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও স্ত্রীর খোঁজ না মেলায় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে জিআরপিতে গিয়ে অভিযোগ জানান। সেখানে রেলপুলিশ পরামর্শ দেন কিশনগঞ্জ রেল পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার। সেই পরামর্শমত ফের প্রিন্স ফিরে আসেন কিশনগঞ্জে। সেখানেই স্ত্রীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। বধূর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কিশনগঞ্জ জিআরপি ও আরপিএফ। মহিলার ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।