Loksabha Election 2024: শনিবারই এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বাম-হামরো পার্টি সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মুনিশ তামাং জানিয়েছিলেন গোর্খাল্যান্ড পাহাড়ের মানুষের সেন্টিমেন্ট। ভোটে জিতলে পাহাড়বাসীর এই দাবিকে মান্যতা দেব। ২৪ ঘণ্টাও কাটল না শিলিগুড়িতে বসে সুর বদলে ফেললেন মুনিশ। এক পাশে সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার আরেক পাশে প্রদেশ কংগ্রেস কার্যকরী সভাপতি তথা দার্জিলিং জেলা সম্পাদক শঙ্কর মালাকার। :f: স্থান শিলিগুড়িতে সিপিএমের দার্জিলিং জেলা অফিস। তাঁদের মাঝে বসে মুনিশ এদিন একদিনও গোর্খাল্যান্ড বা পৃথক রাজ্যের দাবির প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন সকৌশলে। তিনি জানালেন," পাহাড়ের মানুষের যা দাবি, কংগ্রেসের ইস্তেহারে তা আছে। সে কারণে আমি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি ও প্রার্থী হয়েছি।"
এদিন মুনীশ তামাং বলেন, "বিজেপি বা তৃণমূল কেউ কথা রাখেনি। পাহাড়ের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বিজেপি ১৫ বছর ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু দাবিগুলি নিয়ে কোনও কথা বলেনি। সমাধানের চেষ্টাও করেনি" গত ১৫ বছর ধরে ভোটে জিতে এসেছে বিজেপি। কিন্তু পাহাড়ের স্থায়ী সমস্যা সমাধানের কথা বলে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। এই বিষয়ে বিজেপি সাংসদরা একটি বাক্যও ব্যয় করেনি সংসদে। শুধু মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে ভোট নিয়ে ঠকিয়েছেন। এবার কংগ্রেস জিতলে পাহাড়ের এই দাবিকে মান্যতা দেবে কংগ্রেস। পাহাড়ের প্রতিটি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে পাহাড়ের স্থায়ী সমস্যার সমাধানে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
এদিন তিনি বলেন, পাহাড়ে তাঁর লড়াই বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি মিথ্যে আশ্বাস দিয়েছে আর রাজ্য জুড়ে অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল। এই দুই দলের নেই কোনও নীতি। এরা কর্মসংস্থান দিতে পারেনি, পাহাড়ে শিক্ষার পরিকাঠামো তৈরি করতে পারেনি। অথচ ভোট আসলেই বিজেপি-তৃণমূল নেতারা ঝাঁপিয়ে পড়েন পাহাড়ে মিথ্যে প্রতিশ্রুতির ভান্ডার নিয়ে। এই কেন্দ্রের মানুষ এবার আর বিজেপির সঙ্গে নেই। সেই কারণে বিজেপির বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা নির্দল হয়ে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন। মানুষ এবার এর যোগ্য জবাব দেবেন।
তবে দার্জিলিং লোকসভা আসনে খেলা জমিয়ে দিল কংগ্রেস তথা ইন্ডিয়া জোট। এতদিন মনে করা হচ্ছিল লড়াই বিজেপি বনাম তৃণমূলের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে স্লগ ওভারের খেলা শুরু করে দিল কংগ্রেস-বাম-হামরো পার্টি। ফল কী হবে তা জুন মাসেই বোঝা যাবে। তবে তার আগে দুই যুযুধান দলের মাথাব্যথা যে শুরু হয়ে গেল। পাশাপাশি ২০০৪ সালে শেষবার এই আসন থেকে জিতে সংসদে গিয়েছিল কংগ্রেস। তারপর থেকে শুধুই ভোট কমেছে। এবার আবার এই আসন থেকে দিল্লিতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে কংগ্রেস এবং সহযোগীরা। যার বড় সহায় সবচেয়ে শিক্ষিত এবং রাজনৈতিকভাবে অপরীক্ষিত মুনিশ। তাঁর সমর্থন রয়েছে শুধু দার্জিলিং নয়, গোটা উত্তরর-পূর্বাঞ্চলে। সেই সঙ্গে দার্জিলিংয়ের একটা বড় অংশের মানুষ হামরো পার্টির সমর্থনে রয়েছেন। যাঁরা গত পুর নির্বাচনে দার্জিলিং পুরসভা জিতে দখল করেছিলেন। যদিও পরে কাউন্সিলরদের অধিকাংশ বিজিপিএমে যোগ দিলে ক্ষমতা হাতছাড়া হয়। তবে সমর্থন নিয়ে যেতে পারেনি বলে দাবি অজয় এডওয়ার্ডের।
এদিকে মুনিশ তামাংকে প্রার্থী করায় ক্ষুব্ধ নানা দল ঘুরে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া বিনয় তামাং। যদিও তাঁকে সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তাই দিয়েছেন মুনিশ। জানান, সামনাসামনি তিনি সাক্ষাৎ করবেন বিনয়ের সঙ্গে। তিনি আশাবাদী, কোনও ভুলবোঝাবুঝি হয়ে থাকলে সব মিটে যাবে।