Malda School Student's Hair Cut Chaos: ক্লাসে খাতা আগে দেখানো নিয়ে বান্ধবীর সঙ্গে রেষারেষি। এই নিয়ে তর্কাতর্কি গিয়ে দাঁড়ায় বচসায়। তখনকার মতো মিটে গেলেও। মনের রাগ ভিতরে পুষে রাখে ওই ছাত্রী। এপিসোডের দ্বিতীয় ভাগ অভিনীত হয়, যখন রাতে হোস্টেলে ঘুমিয়ে ছিল ওই খাতা আগে দেখানো বান্ধবী। সেই সময় চুপিসারে বান্ধবীর সাধের লম্বা চুল কাঁচি দিয়ে ঘ্য়াঁচঘ্যাঁচ করে কেটে মাথার চুল কেটে নেয় হিংসুটে অপর বান্ধবী বলে অভিযোগ। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক হইচই শুরু হয়ে যায় মালদার একটি বেসরকারি আবাসিক মিশন স্কুলে।
আরও পড়ুনঃ শ্রদ্ধা খুনের চেয়েও ভয়ঙ্কর, আলমারি-ড্রামে ঠাসা মায়ের দেহের টুকরো; আতঙ্ক
আবাসিক স্কুলে পাঠরত এক ছাত্রীর হস্টেলে ঘুমন্ত অবস্থায় চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। ইংরেজবাজারের ঘটনা। ওই ছাত্রীর পরিবারকে খবর না দিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ পার্লারে নিয়ে গিয়ে চুল সাইজ করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা। তাঁর অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর মেয়ের প্রতি বৈমাত্রেয়সুলভ আচরণ করছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতবড় ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে তারা। আজ চুল কেটেছে, আগামীতে গলাও কাটতে পারে বলে তাঁর দাবি। যদিও এই ঘটনাকে সাধারণ ঘটনা হিসেবেই দেখছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাদের মতে এটা ছাত্রীদের নিজেদের মধ্যের কলহ। যে চুল কেটেছে সেও একজন ছাত্রী। বিষয়টি না জেনে অভিভাবক তাদের দোষারোপ করছে।
ঘটনায় নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মালদহের ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে আবাসিক মাদ্রাসা কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে। হোস্টেলে নজরদারির অভাব ও দেখভাল না করার অভিযোগ তুলছেন নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবার। এই বিষয়ে নির্যাতিতা ছাত্রীর মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মিশন থেকে তাঁর কাছে ফোন আসে। প্রথমে তাঁরা ভেবেছিলেন মেয়ে অসুস্থ হয়েছে। কিন্তু মিশনে গিয়ে দেখেন চুল কেটে দিয়েছে। তার উপর মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
আসলে ঘটনা কী?
জানা গিয়েছে, মিশনের নবম শ্রেণির দুই আবাসিক ছাত্রীর মধ্যে বুধবার ক্লাসে গোলমাল হয়। নির্যাতিতা ছাত্রী ক্লাসে আগে খাতা দেখানোয় ক্ষুব্ধ হয় অন্যজন। তাই নিয়ে দীর্ঘ বিবাদ হয়। রাতে ঘুমের সুযোগ নিয়ে এই কাজ করে সে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এমনকী সেই ছাত্রীকে চকোলেট দিয়ে ভুলিয়ে পার্লারে নিয়ে গিয়ে চুল নতুন করে কেটে স্বাভাবিক করার চেষ্টাও করে বলে জানানো হয়। সেই ছাত্রীকে বাড়িতে জানাতেও বারণ করা হয়। কিন্তু সেই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপর পরিবারের লোকেদের বাধ্য হয়ে জানানো হয়। স্কুল ইনচার্জ মুজিবর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘটনাটি জানার পরই তাঁরা তদন্ত করেছেন।