North Bengal Disaster Hail Storm: মাত্র কয়েকদিন আগেই মিনি টর্নেডোর দাপটে ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির কয়েকটি গ্রাম। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এবার একই এলাকায় বিশেষ করে ময়নাগুড়ি ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়ে কয়েকশো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়েছে দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন এলাকায়। সমতলে কৃষি ফসল ও পাহাড়ে কোটি টাকার চা-পাতার ফার্স্ট ফ্ল্যাশ চাপাতা নষ্ট হয়ে গিয়েছে বহু জায়গায়। অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে এসেছে উত্তরবঙ্গের একাধিক এলাকায়। এমন আবহাওয়া পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন থাকবে বলে হাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। আবহাওয়া দপ্তরের সিকিমের কেন্দ্রীয় অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন থাকবে। ফলে সতর্ক থাকতে হবে।
সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যাঙকান্দি ও বাগজান এলাকায়। এছাড়াও ক্ষতি হয়েছে খাগড়াবাড়িতেও। ব্যাঙকান্দি ও বাগজান এলাকায় কয়েকশো বাড়ির টিনের চাল ফুটো হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও শসা, বরবটি, কুমড়ো এবং লঙ্কা চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাসিন্দারা প্রশাসনের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে নাগরাকাটা, বানারহাট ব্লকের মোগলকাটা চা বাগানে শিল পড়ে চা গাছের নতুন কুঁড়ি মাটিতে পড়ে গাছগুলি ন্যাড়া হয়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৩৫ হেক্টর জমির চা গাছ। ঝড়ের তাণ্ডবে ধূলিসাৎ হয়ে যায় কলাবাড়ি চা বাগানের ৩টি শ্রমিক আবাস। প্রকৃতির রোষে পড়েছে বিখ্যাত দার্জিলিং চাও। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে যখন গাছে নতুন পাতা বের হতে শুরু করেছে, তখন বুধবার ভারী শিলাবৃষ্টি বিপদ ডেকে এনেছে ফার্স্ট ফ্লাশে। তামসং, গোল্ডেন ভ্যালির মতো কয়েকটি চা বাগানে এতটাই ভারী শিল আছড়ে পড়েছে যে, কবে নতুন পাতা বের হবে, তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন চা বাগান মালিকরা। শুধু পাহাড় নয়, শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে ডুয়ার্সের বেশ কয়েকটি চা বাগানে। তবে এখনও তরাই অঞ্চলে তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।
বুধবার শিলিগুড়িতেও বেশ কিছু এলাকায় সেবক রোড, সুকনা সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে আছড়ে পড়েছে শিলও। সোনাদা, জোড়বাংলো এলাকায় এতটাই ভারী শিল পড়েছে যে, ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এখানকার চা বাগানগুলিও।
শিলাবৃষ্টির জেরে পাহাড়ের চা বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, সান্দাকফুতে উল্টো ছবি। অনেকটা তুষারপাতের মতো সাদা শিলের চাদরে ঢেকে যায় সান্দাকফু। পর্যটকরা যার আনন্দ চেটেপুটে উপভোগ করেছেন।