NBU Saffron Farming: ১০ ফুট /১০ফুট বর্গফুটের একটি ঘর থাকলেই আপনি মাসে আয় করতে পারবেন লক্ষ লক্ষ টাকা। বেকার যুবক যুবতীদের আয়ের নতুন পথ দেখাচ্ছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রাজ্যে এই প্রথম ল্যাবে কেশর চাষ শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফর্ম ডিপার্টমেন্ট। প্রকল্প সফল হলে এবার আর কাশ্মীরে নয় কেশর চাষ হবে এই রাজ্যের মাটিতে। স্যাফরন (Saffron) অর্থাৎ কেশর চাষ হয় মূলত ভারতের জম্মু কাশ্মীর রাজ্যের ঠান্ডা এলাকায়। কিন্তু এবার এই কেশরকেই বাংলার মাটিতে ফলাতে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ শুরু করল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম বিভাগ।
পরীক্ষাগারে কেশর চাষ
রাজ্য এই প্রথমবার ল্যাবরেটরিতে কেশর চাষ করা হচ্ছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। জানা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম কাশ্মীর থেকে কেশরের ১০০ টি ব্ল্যাব (চারা গাছ) নিয়ে এসে প্রাথমিকভাবে তিনটি পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ শুরু করেছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরটারিতে সায়েন্টিফিক পদ্ধতি, একটি কার্শিয়াংয়ের জমিতে এবং অন্যটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম চত্বরে পলি হাউসে হাইড্রোফনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ শুরু করা হয়েছে।
কীভাবে হবে চাষ?
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তিনটি পদ্ধতির মধ্যে যেই পদ্ধতিতে কেশর চাষ সফল হবে সেই পদ্ধতি উত্তরবঙ্গের কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সাধারণত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে কেশর চাষের জন্য চারা রোপন করা হয়। এবং এর ফুল পেতে প্রায় নভেম্বর মাস লেগে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আশা এই চাষে বিশ্ববিদ্যালয় সফল হলে উত্তরবঙ্গের চাষিরা অনেক কম সময় ব্যয় করে শাকসবজির পরিবর্তে কেশর চাষ করে মোটা টাকা মুনাফায় করতে পারবে।
কত টাকা আয় করা সম্ভব?
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম বায়োটেকনিস্ট অমরেন্দ্র পান্ডে, জানিয়েছেন, মাত্র ১০০ বর্গফুটের ঘরে প্রায় এক হাজার কেশরের চারাগাছ লাগানো যাবে। এই ১ হাজার গাছ থেকে ৪ কেজি কেশর পাওয়া যাবে। বর্তমানে বাজারে ১ কেজি কেশরের দাম প্রায় ৩ লক্ষ টাকা । তবে শিলিগুড়ির বাজারে স্থানীয় কৃষকেরা এই কাজ করতে পারলে লাভের অংক আরও বাড়বে। এর ফলে স্থানীয় বেকার যুবক-যুবতীরাও এই কাজ করে স্বনির্ভর হতে পারবেন। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং চা চাষের জন্য গোটা দেশেই প্রসিদ্ধ। তবে এবার যদি কাশ্মীরের কেশর রাজ্যে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চাষে সফল হয়, সেক্ষেত্রে দার্জিলিংয়ের মুকুটে যোগ হবে আরও একটি নতুন পালক।