কালবৈশাখীর তাণ্ডব এখনও সামলে উঠতে পারেনি জলপাইগুড়ি। ৪ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। তারইমধ্যে আবহাওয়া দফতরের ফের বড়সড় পূর্বাভাস। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়, ফের দুর্যোগ ঘনিয়ে আসতে পারে। ফের তাণ্ডব চালাতে পারে ঝড়।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়, রবিবার সকালে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার জন্য তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনও পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি। তবে সন্ধেবেলা ফের আপডেট করা হয়েছে। সেই মোতাবেক, সোমবার উত্তরবঙ্গে বজ্রপাত ও বৃষ্টি হতে পারে। ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। যার গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার। সেই জায়গাগুলো হল দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার। অর্থাৎ জলপাইগুড়ি থেকে আশঙ্কার কালো মেঘ এখনই যাচ্ছে না। একেই কালবৈশাখীর তাণ্ডব এখনও সামলে উঠতে পারেনি সেখানকার মানুষ। তারইমধ্যে জারি হল দুর্যোগের পূর্বাভাস।
প্রসঙ্গত, রবিবার বিকেলের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জলপাইগুড়ি শহর, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি। যে চার জন মারা গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে তিন জন পুরুষ ও এক মহিলা। সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে পাতকাটা ও ময়নাগুড়ি এলাকায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও পর্যন্ত ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। রাতেই সেখানে উড়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, উত্তরবঙ্গে আগামী দু-তিনদিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় এদিন বৃষ্টিও হয়। বিকেল নাগাদ জলপাইগুড়ি জেলার একাধিক জায়গায় ঝড় শুরু হয়। কিছুক্ষণের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বেশ কিছু এলাকা।
আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছিল, উত্তরবঙ্গে দার্জিলিঙের পার্বত্য এলাকায় হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দু থেকে তিন দিন এই পরিস্থিতি হতে পারে। পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, মূলত বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা। হাওয়া অফিস জানায়, তুলনায় কম বৃষ্টি হবে জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙে। মঙ্গলবার বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলায়। হালকা বৃষ্টি হতে পারে বিক্ষিপ্ত ভাবে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায়।