Advertisement

NH-10 Sliguri Sikkim Road Closed:সিকিমগামী রাস্তা বন্ধ, দুর্যোগ চলবে; পাহাড়ে যাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পর্যটকরা

মূলত বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। হালকা ঝোড়ো হাওয়া ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগের সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গের উপরের জেলাগুলিতে।

সিকিমগামী রাস্তা বন্ধ, দুর্যোগ চলবে; পাহাড়ে যাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পর্যটকরা
Aajtak Bangla
  • শিলিগুড়ি,
  • 24 Mar 2024,
  • अपडेटेड 1:10 PM IST
  • সিকিমগামী রাস্তা বন্ধ
  • দুর্যোগ চলবে আরও কয়েকদিন
  • পাহাড়ে যাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পর্যটকরা

টানা বৃষ্টি-দুর্যোগ চলছে পাহাড়ে। ফলে পাহাড়ের উপরের অংশ নরম হয়ে উপর থেকে ক্রমাগত গড়িয়ে পড়ছে পাথর। ফলে বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে পরিস্থিতি। কালিম্পং জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, যেটি সিকিম-কালিম্পং যাওয়ার প্রধান পথ, শুক্রবারই দুর্ঘটনার আশঙ্কায় তাই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন।  যা নিয়ে অসন্তোষ দানা বাঁধছে। শিলিগুড়ি থেকে সিকিম ও কালিম্পংগামী যানবাহনগুলোকে ঘুরপথে পাঠানো হয়েছে। এদিকে আগামী ৪-৫ দিনও বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় মাথায় হাত পর্যটন সার্কিটে।

দোলের দিনও বৃষ্টি?

দোলের দিনও রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গে আগামী ৫ দিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই মুহূর্তে নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে ঝাড়খন্ড থেকে মণিপুর পর্যন্ত। যা দক্ষিণ থেকে সরে আপাতত উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। ২৫ মার্চ বৃষ্টি হতে পারে মালদা জেলায়। এদিকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গে। মূলত বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। হালকা ঝোড়ো হাওয়া ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগের সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গের উপরের জেলাগুলিতে।

এদিকে রাস্তা থেকে ধস সরিয়ে ফেলার পরও রাস্তা খোলার অনুমতি দেয়নি কালিম্পং জেলা প্রশাসন। যা নিয়ে ক্ষোভ নানা মহলে। তিস্তা বাজার-লিকুভির এলাকা থেকে মুহূর্মুহু ফোন যাচ্ছে সংগঠনের নেতৃত্বের কাছে। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন, এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। ওয়াটার রাফটিং শুরু হয়েছে। তার উপর হোলির জন্য বুকিং ভর্তি। এইউ মুহূর্তে রাস্তা বন্ধ থাকলে অনেকেই ঘাবড়ে যাচ্ছেন। তাঁরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন। সেই সঙ্গে প্রতিবার পর্যটন মরশুমে একই সমস্যায় পড়তে হয়, যার স্থায়ী সমাধানের জন্য তাঁরা কেন্দ্রীয় স্তরে আবেদন জানাবেন। এর আগেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ির কাছে এ নিয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন। ফের প্রস্তাব পাঠানো হবে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পাহাড়ে বৃষ্টির জেরে লিকুভিরে ছোট বড় পাথর গড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এমনিতেই লিকুভির ধসপ্রবণ এলাকা। পাথর গড়িয়ে পড়ার ফলে যে কোনও সময় বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। এর আগে এমনই গড়িয়ে আসা পাথরে পিষ্ট হয়েছিল গাড়ি। তাই সেই রকম আশঙ্কা থাকায় আগাম সতর্কতামূল ব্যবস্থা নিয়ে বাধ্য হয়ে এই পথ দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বিপজ্জনক এলাকায় কালিম্পং পুলিশের তরফে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। শনিবার সকালে টানা বৃষ্টির জেরে ফের ধস নামে লিকুভিরে। পাহাড় থেকে ক্রমাগত গড়িয়ে পড়তে শুরু করে পাথরও। ফলে শনিবারও ভোগান্তি ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে।

কোন রুটে যেতে পারেন সিকিম-কালিম্পং?

শিলিগুড়ির সঙ্গে কালিম্পং ও সিকিমের গাড়ি চলাচল করছে ঘুরপথে ডুয়ার্স হয়ে। সেবক-গরুবাথান-লাভা রুটে। ফলে পর্যটকদের যাঁরা এই মুহূর্তে পাহাড় যাচ্ছেন বা ফিরছেন, তাঁদের বাড়তি সময় নষ্ট করতে হচ্ছে। অনেকেই যানজটের ভয়ে সফর কাটছাঁট করে আগেই ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অন্যদিকে, কালিম্পং এবং সিকিম থেকে শিলিগুড়িমুখী যান চলাচল করছে ২৭ মাইল-সামথার রুটে।

 
 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement