ছিল নীল সাদা, চাপানো হয়েছিল গেরুয়া রং। তবে গেরুয়া রং করার দশদিন পর ফের নীল সাদা রঙে ফিরতে চলেছে মালদার ভাবুক পঞ্চায়েত। এত তাড়াতাড়ি রং বদল নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। প্রশাসনের চাপেই রং বদল বলে দাবি বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের। পাল্টা তৃণমূলের প্রশ্ন, গ্রাম পঞ্চায়েতকে নিজেদের পার্টি অফিস করতে চেয়েছিল বিজেপি। প্রশাসনের চাপে রং পাল্টাতে বাধ্য করা হয়েছে। রং বদলে টাকা এল কোথা থেকে? প্রশ্ন তৃণমূলের।
সাম্প্রতিক কালে রঙের রাজনীতিতে রং চেনা দায়। নীল সাদা হোক গেরুয়া বা লাল। বিভিন্ন সময় রং দিয়েই হচ্ছে রাজনীতির বিচার। যখন রাজ্যজুড়ে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দফতরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হচ্ছে নীল সাদা রং। তখন হঠাৎ করেই বিজেপি পরিচালিত এক পঞ্চায়েতে রঙের পরিবর্তন। নীল সাদা থেকে গেরুয়া রঙে রেঙে যায় পঞ্চায়েত ভবন। তারপরেই তুঙ্গে ওঠে বিতর্ক।
জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি দুলাল সরকারের অভিযোগ 'পঞ্চায়েতকে পার্টি অফিস করেছে বিজেপি। একবার রং করা হয়েছে। দশ দিনের মধ্যে আবার রং, এই খরচ কোথা থেকে হচ্ছে? তাহলে এই টাকা প্রধানের কি নিজের টাকা না সরকারের টাকা? সরকারের টাকাকে এই প্রধান অপচয় করছে, রাজ্য সরকার হোক কিংবা কেন্দ্রীয় সরকার, যে নিয়ম রয়েছে সে নিয়মই মেনে চলা উচিত।'
পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান প্রভুনাথ দুবে বলেন, 'তৃণমূল, কংগ্রেসের সদস্যদের নিয়ে মিটিং করেই আমরা পঞ্চায়েত রং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আজকে রাজনীতি করছে টিএমসি। রং করার পরে প্রশাসন আজকে চাপ সৃষ্টি করছে। যার ফলে আজকে গেরুয়া রং মুছে ফেলে নীল সাদা রং করা হচ্ছে। আসলে ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখলে আছে। সে ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়ে গিয়েছে, রঙ পাল্টে দিলেই কি ভোট হয়? এখানকার জনগণ সবসময় বিজেপির পাশে রয়েছে।'
সংবাদদাতা: মিল্টন পাল