তিস্তায় বন্যার জলে ভেসে আসা একটি মর্টার শেল বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত জলপাইগুড়িতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। চারজন আহত হয়েছেন। গত সপ্তাহে সিকিমে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও তার জেলে হড়পা বানের কারণে তিস্তা নদীতে জলস্তর বেড়ে যায়। সেই বন্যায় ভারতীয় সেনার ১৬টি মর্টার শেল ভেসে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় সেগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। বুধবার ২০টি মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল।
মর্টারগুলি সেনাবাহিনীর
ক্রান্তি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনসুরউদ্দিন জানান, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি যৌথ দল দিনের বেলায় ১৬টি মর্টার শেল উদ্ধার করে চেংমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে একটি এলাকায় নিষ্ক্রিয় করে। পুলিশ দাবি করেছে যে মর্টার শেলগুলি সেনাবাহিনীর এবং প্রতিবেশী সিকিম থেকে বানের জলে ভেসে এসেছিল।
গত সপ্তাহে জলপাইগুড়ি জেলায় তিস্তা নদীর বন্যার জলে ভেসে আসা মর্টার শেল বিস্ফোরণে ২ জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। জেলা পুলিশ জানিয়েছে, গত দু'দিনে মোট ৩৬টি মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে এবং আরও পাওয়ার সম্ভাবনা থাকাতে অনুসন্ধান অভিযান চলছে।
পুলিশের পরামর্শ
জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ একটি পরামর্শ জারি করেছে। যাতে জনগণকে তিস্তা নদীর ধারে ভেসে যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র বা বিস্ফোরক স্পর্শ না করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। বিবৃতিতে পুলিশ বলেছে, 'সিকিমে ভয়াবহ বন্যার কারণে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক-সহ কিছু সামরিক সরঞ্জাম তিস্তা নদীতে ভেসে গেছে। আমরা জনগণকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি এবং অবিলম্বে কোনও অজানা বস্তু, বাক্স, প্যাকেজ, আগ্নেয়াস্ত্র বা জলে ভাসমান কোনও সন্দেহজনক বস্তু সম্পর্কে নিকটস্থ থানায় জানাতে অনুরোধ করছি।' সিকিম সরকারও একই রকম সতর্কতা জারি করেছে এবং তিস্তা নদীর অববাহিকা পরিদর্শন করার সময় লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছে কারণ সেখানে কাদার মধ্য়ে বিস্ফোরক ও অস্ত্র থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।