Advertisement

Chopra Case: চোপড়া কাণ্ড: নির্যাতিতদের বয়ান নিল NHRC, গ্রেফতার আরও ২

Chopra Case: চোপড়ায় যুগলকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানো তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার সন্ধেয় তাঁকে গ্রেফতার করে ইসলামপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে। ধৃতের নাম তাজম্মুল হক ওরফে জেসিবি।

চোপড়া কাণ্ড: নির্যাতিতদের বয়ান নিল NHRC, গ্রেফতার আরও ২
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 04 Jul 2024,
  • अपडेटेड 2:52 PM IST
  • চোপড়ায় যুগলকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানো তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
  • রবিবার সন্ধেয় তাঁকে গ্রেফতার করে ইসলামপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।

Chopra Case: চোপড়ার নারী নির্যাতন মামলায় আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল রাতে চোপড়া থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। পুলিশ দাবি করেছে যে গ্রেফতার আব্দুল রউফ এবং তাহেরুল ইসলাম চোপড়া এলাকার বাসিন্দা এবং প্রধান অভিযুক্তের ঘনিষ্ঠ। গ্রেফতারকৃত আসামীদের আজ আদালতে পাঠানো হবে।

এর আগে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় (Chopra) যুগলকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাজেমুল হক ওরফে জেসিবিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এলাকায় এক যুবক-যুবতীর বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক নিয়ে অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে সালিশী সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানেই দুই যুবক-যুবতীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তারপরই নড়চড়ে বসে প্রশাসন। ঘটনায় সুয়োমোটো মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। তারপরই গ্রেফতার হয় ওই তৃণমূল নেতা।

ঘটনার রেশ গিয়ে পৌঁছয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেও। কমিশনের তরফে এলাকায় গিয়ে ঘটনা সরেজমিনে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো বৃহস্পতিবার সকালে চোপড়ায় নির্যাতিতদেরর বাড়ি পৌঁছন কমিশনের প্রতিনিধি দল। নির্যাতিত যুবক-যুবতী ঘটনার দিন থেকে একই বাড়িতে রয়েছেন। আজ সেখানেই যান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। চারজনের এই প্রতিনিধি দলে একজন মহিলা আধিকারিকও রয়েছেন। যারা ঘটনার ভিডিও ভাইরাল করেছে, প্রতিনিধিদের কাছে তাদের শাস্তির দাবি করেন নির্যাতিতরা।

টানা দুই ঘণ্টা চোপড়ার ওই নির্যাতিত যুবক-যুবতীর সঙ্গে কথা বললেন ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিটির (National Human Rights Committee) প্রতিনিধিরা। তাঁদের বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়। পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন। এছাড়াও কিছু প্রতিবেশীর সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে বলে জানা যায়। এরপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে ঘটনাস্থলে যায় প্রতিনিধি দল। সেখান থেকে লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। তবে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি তাঁরা।

এর আগে গত সপ্তাহে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায় এক তরুণীকে রাস্তার মধ্যে ফেলে এক ছড়া কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারছেন জেসিবি। মার খেতে খেতে গুটিয়ে যাওয়া মেয়েটিকে চুলের মুঠি ধরে টেনে এনে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলা হচ্ছে। তার পরে আবার শুরু হচ্ছে মার। একইসঙ্গে এক তরুণকেও একই ভাবে মারতে দেখা যায় তাঁকে। যা প্রকাশ্যে আসার পরই শুরু হয় বিতর্ক। একে একে মুখ খুলতে শুরু করেছিলেন রাজ্যের বিরোধীরা। পরে ইসলামপুরের পুলিশ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে। তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযানও শুরু হয়। এবং সন্ধের মধ্যেই জেসিবিকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

জেসিবি চোপড়ার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা। তিনি বিধায়ক হামিদুর রহমানেরও ঘনিষ্ঠ। ঘটনার পর হামিদুরকেও সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, এলাকায় যেন আর সালিশী সভা না বসে সেদিকে নজর  রাখতে বলেন।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement