Advertisement

Darjeeling Toy Train: শতাব্দী প্রাচীন স্টিম ইঞ্জিনে গোলমাল, টয়ট্রেন নিয়ে উদ্বেগ রেলের

Darjeeling Toy Train: রেল বোর্ডের নির্দেশে সোমবারই এনজেপিতে (NJP) আসেন কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার। এরপর এদিন ডিএইচআর আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে গোটা সেকশন পরিদর্শনে বের হন তিনি। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ বছর পুরোনো স্টিম ইঞ্জিনগুলিতে বেশি সমস্যা হচ্ছে। সে বিষয়ে রিপোর্ট গিয়েছে বোর্জের কাছে।

শতবর্ষ প্রাচীন ইঞ্জিনে গোলমাল, টয়ট্রেন নিয়ে তদন্তের রিপোর্ট গেল রেলবোর্ডের কাছে
Aajtak Bangla
  • দার্জিলিং,
  • 10 Jan 2024,
  • अपडेटेड 7:00 AM IST

Darjeeling Toy Train: মাঝেমধ্যেই লাইনচ্যুত হচ্ছে টয়ট্রেন। বিশেষ করে জয়রাইডের (Toy train Joyride) জন্য চলা ইঞ্জিনের ট্রেনগুলিকে নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। গত কয়েকদিন ধরে টয়ট্রেনের (Toy train) একাধিক জয়রাইড লাইনচ্যুত হয়েছে। ইঞ্জিন খারাপ হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এর ফলে বাতিল করে দিতে হয়েছে পরিষেবা। পর্যটকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। পাশাপাশি বারবার এমন হলে টয়ট্রেনের হেরিটেজ তকমা ক্ষুণ্ণ হতে পারে। এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিপদ বুঝে তড়িঘড়ি পরিস্থিতি সামাল দিতে কারণ অনুসন্ধানে নামল রেল।

রেল বোর্ডের নির্দেশে সোমবারই এনজেপিতে (NJP) আসেন কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার। এরপর এদিন ডিএইচআর আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে গোটা সেকশন পরিদর্শনে বের হন তিনি। প্রথমেই সুকনা স্টেশনে যান। সেখান থেকে স্পেশাল ট্রেনে পাহাড়ের দিকে ওঠেন। পাহাড়ে ওঠার সময় তিনধারিয়া ওয়ার্কশপে যান। সেখানে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। রেলের মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গেও কথা বলেন বলে জান গিয়েছে।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ বছর পুরোনো স্টিম ইঞ্জিনগুলিতে বেশি সমস্যা হচ্ছে। সে বিষয়ে রিপোর্ট গিয়েছে বোর্জের কাছে। লাইনের পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখা হয়। কয়েক জায়গায় লাইন বদলে দিতে প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট জমা পড়ার পর প্রস্তাব অনুযায়ী রেলবোর্ডের কাছ থেকে আর্থিক বরাদ্দ আসবে। যাত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রস্তাব নেওয়া হচ্ছে। জয় রাইডের আগে আরও ভালো করে ইঞ্জিন পরীক্ষা করেই তারপর যেন চালানো হয় তেমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহে দু’দিন একই জায়গায় লাইনচ্যুত হয়েছে দার্জিলিং থেকে ঘুম টয়ট্রেনের জয় রাইড। এতে পর্যটকরা যেমন ক্ষুব্ধ তেমনই ইউনেসকোর প্রতিনিধিরা ক্ষুব্ধ। বিশ্ব ঐতিহ্য তকমাপ্রাপ্ত দার্জিলিং টয়ট্রেনের এহেন পরিস্থিতিতে রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতেই এদিন তড়িঘড়ি শিলিগুড়িতে চলে আসেন ডিআরএম।

জানা গিয়েছে একাধিক ইঞ্জিনের চেসিস খারাপ। ফলে বারবার লাইনচ্যুত হচ্ছে ট্রেন। একাধিক ইঞ্জিনের বয়লারও খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই সেগুলি একপ্রকার অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। লাইন বদল এবং স্লিপার বদলের কাজ বছরখানেক আগে থেকেই শুরু করেছে রেল। সমতল থেকে কার্শিয়ং পর্যন্ত সেই কাজ প্রায় হয়ে এলেও দার্জিলিং পাহাড়ে বেশ কিছু জায়গায় এখনও সেই কাজ বাকি। কাঠের স্লিপার বদলে লাইনে লোহার স্লিপার বসানোর কাজ করতে হবে।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement